শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
এ কে আজাদ, ব্যুরো, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স (জিন রহস্য) গবেষণা করেছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই জিন রহস্য গবেষণায় নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত অণুজীব গবেষক ড. সমীর কুমার সাহা ও তার মেয়ে ড. সেজুঁতি সাহা।
এর ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি ও ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানান গবেষকরা। এই জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাসটির রূপান্তরও বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। যা করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। কাজে লাগবে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারেও।
চাইল্ড রিসার্চ হেলথ ফাউন্ডেশন জানায়, তারাই সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণা করেছে। এ জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে কাজ করেন ডা. সমীর সাহা। ডা. সমীর সাহা ও তার একমাত্র কন্যা ডা. সেজুঁতি সাহা বাবা-মেয়ে দু’জনই চাঁদপুরের কৃতি সন্তান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই দুই গবেষকের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। অর্জনের খাতায় আছে আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি।
প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধতন কর্মকর্তা বর্তমানে গবেষণার কাজে লন্ডনে অবস্থানরত ডা. সেজুঁতি সাহা গণমাধ্যমকে জানান, আমরা শুধুমাত্র একটি জিনোম সিকোয়েন্স বের করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী সপ্তাহে আরও একটি জিনোম সিকোয়েন্স শেষ হবে।
তিনি জানান, প্রথমবারের মতো করা জিনোম সিকোয়েন্সে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভাইরাসটির সঙ্গে তাইওয়ান, সুইডেন, শ্রীলঙ্কা ও রাশিয়ার করোনাভাইরাসের সাদৃশ্য রয়েছে। এই ভাইরাসটির এখন পর্যন্ত ৯ বার মিউটেশন হয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর আগে নিমোনিয়া ও ডেঙ্গুসহ বাংলাদেশের অন্যান্য রোগেরও জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণা করেছে।