বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

পিলখানা বিদ্রোহ : ৩০ ঘণ্টায় ৭৪ জনকে হত্যা ‘নজিরবিহীন’

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৯ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭: পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যায় করা মামলায় তিন বিচারকের সর্বসম্মতিতেই রায় ঘোষণা করছে হাইকোর্ট।

রবিবার তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চের দুই বিচারপতি তাদের পর্যবেক্ষণের অংশবিশেষ উপস্থাপন করেছেন। তাদের একজন বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, অপরজন সদস্য বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার তার পর্যবেক্ষণ দেয়ার পরই মূল রায় ঘোষণা শুরু হবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে আদেশের অংশ ঘোষণা শুরু হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে রবিবার সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের ‍নেতৃত্বাধীন প্রথম রায় ঘোষণা শুরু হয়। এসময় বিচারপতি মো. শওকত হোসেন অল্প কিছু পর্যবেক্ষণ দেন। এর পরই বেঞ্চের অপর সদস্য বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তার পর্যবেক্ষণ দেয়া শুরু করেন। দিনের শেষ কর্মঘণ্টা পর্যন্ত তিনি রায় পড়া চালিয়ে যান।

এদিকে রায়ের পর্যবেক্ষণে ভিন্ন মত থাকলেও আদেশের অংশের বিষয়ে তিন বিচারপতিই একমত হয়েছেন। এবং সর্বসম্মত হয়েই তিন বিচারপতির এই বেঞ্চ আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

এ বিষয়ে রবিবার দুপুরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সোমবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। রায়ে কার কি সাজা হবে কিংবা কাদের খালাস দেয়া হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ ইতোমধ্যে একমত হয়েছেন।’

এর আগে রবিবার বেঞ্চপ্রধান বিচারপতি মো. শওকত হোসেন তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে একটা ভয়াবহ ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। ওইদিন ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এমনকি বিডিআর (বিজিবি) মহাপরিচালকের স্ত্রীকেও হত্যা করা হয় নৃসংশভাবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ও এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়নি। এটা ছিল নির্বিচারে হত্যা (ম্যাস কিলিং)। ওইদিন দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করা হয়। তাদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এ মামলার বিচারকালে বেশ কিছু আইনগত প্রশ্ন ওঠে। আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপতি রেফারেন্স পাঠান। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের পর শুরু হয় বিচারকাজ।’

এ মামলার রায়ের জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলাটি আমাদের আদালতে আসার পর ৩৭০ কার্যদিবস শুনানি গ্রহণ করেছি। শুধুই মামলার ৮শ ৫০ জন আসামি এ রায় শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন না, দেশের অনেকেই রায় জানতে চান। কেউ কেউ নির্ঘুম রাত কাটাবে। তাই আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। এটা অনেক বড় রায়। আমরা একটা ভাল রায় দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের পর্যবেক্ষণ আলাদা আলাদা থাকতে পারে। তবে গন্তব্য এক। রায়ের আদেশের অংশের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। এ রায় ঘোষণার জন্য আমাদেরও রক্তচাপ বেড়ে গেছে।’

এসময় রায়ের পর্যবেক্ষণ দিতে গিয়ে বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘নজিরবিহীন’ ও এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করেন।

তিনি তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘পিলখানা হত্যার এই মামলাটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফৌজদারি অপরাধ জগতের সর্ববৃহৎ মামলা হিসেবে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত।’

দণ্ড ও সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে রায়ের সার্বিক পর্যক্ষেণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে এ বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, ‘এটি একটি নৃসংশ ও বর্বরোচিত ঘটনা। তাই আইনানুগ, যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’

রায় পর্যবেক্ষণে তিনি আরও বলেন, ‘তাছাড়া সর্বাধিক সংখ্যক অভিযুক্তদের দণ্ড ও সাজা প্রদানের যথার্থতা নিরূপনে বিধিবদ্ধ আইনের ব্যবহার ও যৌক্তিকতার পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অপরাধের সাজা ও আইনের শাসন সম্পর্কে সংবিধানের নির্দেশনা বিবেচনার দাবি রাখে।’

মামলাটিকে দেশের ফৌজদারি অপরাধ জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে আখ্যায়িত করে রায়ের পর্যবেক্ষণে এ বিচারক বলেন, ‘যুক্তিতর্ক, প্রচলিত ও বিধিবদ্ধ আইনের ব্যাখ্যা, প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আইনের শাসন সমুন্নত রাখা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বিবেচনায় এটি যুগান্তকারী রায়। যার প্রেক্ষিত হবে প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, স্থিতিশীল সমাজ বিনির্মাণে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সার্বজনীন টেকসই ও নির্মোহ একটি দৃষ্টান্ত।’

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘নৃসংশভাবে হত্যাকাণ্ড শুধু নয় অমানবিক নির‌্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, অস্ত্রাগার লুট ও সশস্ত্র মহড়া ও জনজীবনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের সার্বভ্যেমত্ব ও স্থিতিশীলতা নষ্টসহ নানা জঘণ্য অপরাধ সংঘঠিত করা হয়। এ মামলার ভয়াভহতা, নৃসংশতা, পৈশাচিকতা, বিশৃঙ্খলা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্ত।’

বিস্ময় প্রকাশ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে এ বিচারপতি বলেন, ‘আমি বিস্মিত হয়েছি এই কারণে যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশাপাশি স্বশস্ত্র বাহিনীর সাথে তৎকালীণ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) জোয়ানরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে।’

‘অথচ রাষ্ট্রের প্রাচীন এই সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠানটি দেশের সীমান্তরক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তাদের গৌরবগাঁথা ইতিহাস ও পেশাদারিত্ব রয়েছে। দীর্য় পথ পাড়ি দিয়ে গড়ে ওঠা সুসংগঠিত আধাসামরিক বাহিনী হিসেবে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ রাইফেলসের জোয়ানরা ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে সেই ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে দেশের আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল হত্যাকারীরা।’

বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী তার রায় পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, ‘এমনকি দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়াসহ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের উপর প্রত্যক্ষ হুমকির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের ইতিহাসকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। এই কলঙ্কের চিহ্ন তাদের বহুকাল বহন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এত অল্প সময়ে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৫৫ জন সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়। আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে ১৭ সেনা কর্মকর্তার নিহত হওয়ার নজির আছে। দক্ষিণ ফিলিপাইনে এক বিদ্রোহে ৬ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ইন্দোনেশিয়ায়। সেখানে ১৯৬৭ সালে চিনপন্থি কমিউস্টিদের সমর্থনে সংঘটিত সাত দিনের বিদ্রোহে ১০০ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিল।’

পিলখানার ঘটনা সে ঘটনাকেও হার মানিয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘কারণ, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩০ ঘণ্টার বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা ছিল অবর্ণনীয়, বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন।’

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সেই সময়ের সরকারের প্রসংশা করে রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘সদ্য নির্বাচিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসীম ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও সাহসীকতার সঙ্গে দৃঢ় মনোবল নিয়ে শক্ত হাতে বিদ্রোহ দমনের যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পূর্বাপর আলোচনা ও পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, এ ঘটনা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সামাজিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র। শুধু তাই নয়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি দক্ষ, প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ধ্বংসেরও চেষ্টা এটি। কিন্তু ধ্বংসের সে চক্রান্ত রুখে দিতে সদ্য নির্বাচিত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অবশ্যই প্রসংশার দাবি রাখে।’

বাংলাদেশ রাইফেলস নামে আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠার ২১৮ বছরের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরে এ বিচারপতি তার পর্যবেক্ষেণে বলেন, ‘২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের মূল লক্ষ্য ছিল- সেনা কর্মকর্তাদের জিম্মি করে যেকোনো মূল্যে তাদের দাবি আদায় করা। বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে এই সুশৃঙ্খল বাহিনীকে অকার্যকর করা। সেনাবাহিনী-বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নবনির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীলতায় নিপতিত করা। এমনকি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত করা।’

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তার রায় পর্যবেক্ষণের শেষাংশে বলেন, ‘পিলখানা হত্যার মধ্য দিয়ে মাত্র ৪৮ দিনের মাথায় একটি নবনির্বাচিত সরকারকে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করা হয়েছিল। যা ছিল গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য প্রচণ্ড হুমকিস্বরূপ।’

তিনি বলেন, ‘মামলাটির বিশালত্ব, নৃশংসতা, ভয়াভহতা ও বর্বরতা বিবেচনায় দেশের প্রচলিত আইন, উপমহাদেশের উচ্চ আদালতের প্রখ্যাত মামলার নজিরসমূহ, আইন শাস্ত্রের প্রখ্যাত পণ্ডিতদের দিকনির্দেশনা, প্রাচীন ও গণতান্ত্রিক দেশসমূহের সংবিধান, ম্নি আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণ, সাক্ষ্য, নথিতে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র ন্যায়বিচারের স্বার্থে পর্যালোচনা করে মামলাটির আইনানুগ ও গুনাগুনের ভিত্তিতে (অন মেরিট) তর্কিত রায়ে প্রদত্ত দণ্ডাদেশের যথার্থতা নির্ণয় করা সমীচীন বলে আমি বা আমরা মনে করি।’

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ওই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত নারকীয় এক হত্যা মামলার রায় দেয়। হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ শেষ হচ্ছে। মামলায় মোট ৮৪৬ জন আসামির মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ে সাজা হয় ৫৬৮ জনের। তাদের মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন।

বিচারিক আদালতের ওই রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। এর পর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দণ্ডিতরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষও ৬৯ আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে।

২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখে ২৬ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *