শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত মৌসুমী ফল বিনা মাশুলে রাজধানীতে সেবা দিচ্ছে ডাক অধিদপ্তর

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৮ পাঠক
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

বর্তমানকন্ঠ ডটকম : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত মৌসুমী ফল রাজধানীর পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিতে বিনা মাশুলে ফল পরিবহন সেবা দিচ্ছে ডাক অধিদপ্তর। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৩০ মে খাগড়িছড়িতে বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ৪০ হাজার লিচু পরিবহনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বিনা মাশুলে কৃষিপন্য পরিবহনে ডাক অধিদপ্তরের কৃষকবন্ধু কর্মসূচির পর ফল পরিবহনে নতুন এই সেবাটি চালু করা হয়। মন্ত্রীর নির্দেশে ডাক অধিদপ্তর সেবাটি চালু করে।

মন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে ঢাকায় বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি থেকে বিনা মাশুলে রাজধানীতে মৌসুমি ফল পরিবহন সেবা উদ্বোধন করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র জুম ভিডিওতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কোভিড -১৯ এ সৃষ্ট বৈশ্বিক এই সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহ সহজতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে। এছাড়াও বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয় সমূহে দ্রুত পৌঁছানোসহ নিরবচ্ছিন্ন ডাক সেবা নিশ্চিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনে নগরবাসীর দোরগোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমান ডাকঘরের কার্যক্রম গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু করা হয়।

নতুন এই সেবার আওতায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই তার বিক্রয়লব্ধ পণ্যের টাকা পেয়ে যাবেন। এর ফলে কোন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে ব্যবহৃত রাজধানী ফেরৎ ডাক অধিদপ্তরের গাড়ী গুলো কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে । এতে সরকারের অতিরিক্ত কোন খরচেরও প্রয়োজন হবে না। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবা চালু করা হবে। মন্ত্রী এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইন বক্তৃতার এসব কথা বলেন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে খাগড়া ছড়ি প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মোরতজা আলী, খাগড়াছড়ি রাঙামাটি সার্কেলের ডিপিএমজি মোস্তাফা কামাল, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুক্তা চাকমা, খাগড়াছড়ির পোস্ট মাস্টার অরুন বিকাশ চাকমা এবং কৃষক প্রতিনিধি দীনেশ ত্রিপুরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *