শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

ফুলবাড়ীতে করোনার প্রভাবে চরম বিপাকে হাট ইজারাদাররা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৭ পাঠক
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

জাকারিয়া শেখ, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম : করোনা পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ১৪ টি হাটবাজার সরকারী নির্দেশনায় গত ২৩ মার্চ থেকে (খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধের দোকান ছাড়া) সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। টোল আদায় করতে না পেরে চরম লোকসানের মধ্যে পড়েছেন ইজারাদাররা। বিশেষ করে যেসব হাটে পশু বেচা-কেনা হয় সেসব হাটের ইজারা মূল্য বেশি হওয়ায় ইজারাদারদের লোকসানের পরমিান আরও বেশি। এ অবস্থায় ইজারা মূল্য পরিশোধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ করে নোটিশ দেয়া এবং নোটিশ প্রদানের সাত দিনের মধ্যে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে দাখিলকৃত বিডি বাজেয়াপ্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আলটিমেটামে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলার সকল হাটবাজারের ইজারাদাররা।

জানাগেছে, গত ১৪২৬ বাংলা সালের চৈত্র মাসে দরপত্রের মাধ্যমে উপজেলার হাটবাজারগুলো ১৪২৭ সালের জন্য ইজারা গ্রহণ করেন ইজারাদাররা। ওই বছরের ০৯ই চৈত্র ২৩ মার্চ ২০২০ইং করোনা ভাইরাসের কারনে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক জেলার সকল হাট-বাজার( কাঁচামাল, মাছ, মাংস, খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধের দোকান ছাড়া) পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করেন। ১৪২৭ বঙ্গাব্দ না পরতেই হাটবাজার বন্ধের ঘোষনায় বিপাকে পড়েন ইজারাদাররা । তার উপর ২৩ মার্চ ২০২০ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত নোটিশে সাত দিনের মধ্যে ইজারামুল্য পরিশোধ চাপ প্রয়োগ করা হয়। অন্যথায় বিডি বাজেয়াপ্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। এতে বিপাকে পড়েন ইজারাদাররা।

উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুরহাট হিসাবে পরিচিত খড়িবাড়ী হাটের ইজারাদার নুর ইসলাম শেখ জানান,দেশের অন্যতম বড় এই পশুর হাটে প্রতিহাটে এক/দেড় হাজার গরু কেনা বেচা হয়। এবছর ভ্যাটসহ হাটের ইজারা মুল্য প্রায় ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৬ টাকা। হাট ইজারা নেয়ার পরেই করোনা ভাইরাসের জন্য সকল হাটবাজার বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনিতে হাট বন্ধ থাকায় প্রতি সপ্তাহের দুই হাটে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে, তার উপর ইজারা মুল্য পরিশোধে প্রশাসনের তাগাদা। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।

উপজেলার অপর দিকে গরুর হাট বালারহাটের ইজারাদার হাশেম আলী বলেন, আমরা ইজারা মুল্য পরিশোধে বাধ্য তবে যে দীর্ঘ সময় হাটবাজার বন্ধ থাকলো এবং আগামীতে যতদিন বন্ধ থাকবে তার লোকসান পুষিয়ে দেয়ার জন্য আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নইলে আমাদেরকে পথে বসতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মাছুমা আরেফিন জানান, সরকারী নির্দেশে করনো ভাইরাসের কারনে বন্ধ থাকা হাটবাজারের ইজারামুল্য পরিশোধের সময়সীমা আগামী ৩১ মে ২০২০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ক্ষতিপুরণের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসেনি। সে অনুযায়ী সকল ইজারাদারকে মুল্য পরিশোধের জন্য পুনরায় চিঠি দেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *