শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম চাঁদপুর : মহান মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টর কমান্ডার ও চাঁদপুর জেলা পরিষদ এর সাবেক প্রশাসক (স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত) কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।
মরহুমের মেয়ের জামাতা খোরশেদ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরহুমের নামাজে জানাযা এবং দাফনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত পারিবারিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
আবু ওসমান চৌধুরী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনের গাঁও গ্রামের চৌধুরী বাড়ীর বাসিন্দা। স্বপরিবারে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডী বাড়ীতে থাকতেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবু ওসমান চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদে কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। অপারেশন সার্চলাইট-এর সংবাদ পেয়ে ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় তিনি চুয়াডাঙার ঘাঁটিতে পৌঁছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
এর আগে ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ আবু ওসমান চৌধুরী পদ্মা মেঘনার ওপারে কুষ্টিয়া থেকে বরিশাল জেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাকে দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণ নামকরণ করে সে রণাঙ্গণের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। পরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাকে দক্ষিণ পশ্চিমাংসের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮নং ও ৯নং সেক্টরদ্বয় গঠন করেন এবং ৮ নং সেক্টরের দায়িত্বে আবু ওসমান চৌধুরীকে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে সময় ওই সেক্টরের অপারেশন এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা। মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সংকুচিত করে কুষ্টিয়া ও যশোর, খুলনা জেলা সদর, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে এই এলাকা পুনর্গঠন করা হয়। এই সেক্টরের প্রধান ছিলেন আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম এ মঞ্জুর। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (১৯৭১)’
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার আবু ওসমান চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে