শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন

মহেশপুর অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যাকারী সেই ওহিদুলের পরিবারের পাশে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ২৯ পাঠক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন

জাহিদুর রহমান তারিক, বর্তমানকন্ঠ ডটকম ঝিনাইদহ : ৪ সন্তান, মা ও স্ত্রী কে দুইদিন খাবার মুখে তুলে দিতে না পেরে ও ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যাকারী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের ৪ সন্তানের জনক ভ্যান চালক ওহিদুল ইসলাম (৩৫) এর পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন ঝিনাইদহ র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ আলম ও পুলিশের কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম।

২৩ মে শনিবার দুপুরে অসহায় পরিবারটির জন্য বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও পরিবারটির স্থায়ী ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে একটি সেলাই মেশিন, থান কাপড় ও অন্যান্য উপকরন নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন এই দুই কর্মকর্তা। আত্মহত্যাকারী ওহিদুলের ২ মেয়ে ওহিদা (১৩) নাহিদা (১১) ছেলে স্বাধীন (৬) শাহিন (৪) তার মা ও স্ত্রী রয়েছে।

কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন পরিবারটির পাশে আমি ও র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্যার সাধ্যমত সহায়তা করবার চেষ্টা করেছি। আসলে আমাদের এই সামান্য সহায়তা দিয়ে বিধবা মেয়েটির পক্ষে তার ৪ সন্তান কে লালন পালন করা বেশ কষ্ট সাধ্য। কাজেই যদি সমাজের বিত্তবান মানুষ যদি পরিবারটির পাশে একটু সহায়তার হাতটা বাড়িয়ে দেয় তাহলে অন্তত পরিবারটি দুবেলা খেয়ে বাচঁতে পারবে।

ঝিনাইদহ র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ আলম বলেন এর আগেও আমি ও পুলিশের কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত ভাবে পরিবারটিকে যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। কিন্তু এভাবে কে কতদিন করবে ? সেই জন্য যেহেতু বিধবা ওহিদুল এর স্ত্রী সেলাইমেশিন এর কাজ পারে সেকারনে তাকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সেলাইমেশিন সহ অন্যান্য উপকরন দেওয়া হলো যেনো সে তার সন্তানদের জন্য একটা স্থায়ী আয়ের সুযোগ পায়। এছাড়াও আমার ও কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছি যেনো এই টাকাটা দিয়েও বিধবা মেয়েটি একটা আয়ের উৎস তৈরি করে তার ৪ সন্তানদের মুখে খাবার ও লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেন।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীবেড় ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের ৪ সন্তানের জনক অহিদুল ইসলাম (৩০) গত ৬ই এপ্রিল অভাবের তাড়নায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *