বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

রাত পোহালেই ইরানের ‘ঐতিহাসিক’ নির্বাচন

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪০ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের ‘ঐতিহাসিক’ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে। দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘ঐতিহাসিক’ ভোটে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

তবে এই নির্বাচন নিয়ে তরুণ ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচারণা। এ কারণে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন প্রার্থীরা। শহর-গ্রামের রাস্তার দুই পাশে, অলিগলিতে বুধবার সবচেয়ে বেশি পোস্টার চোখে পড়েছে। এছাড়া প্রার্থী ও কর্মীদেরকে বুধবারও নিজেদের কর্মসূচিসহ নানা পরিকল্পনা তুলে ধরে ভোট চাইতে দেখা গেছে।

আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। পার্লামেন্টের ২৯০টি আসনের জন্য সাত হাজার ১৪৮ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ কোটি ৮০ লাখ। একই দিনে ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের অগে বুধবার মন্ত্রিসভায় সাপ্তাহিক ভাষণে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। সেখানে তিনি আগামীকালের নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানে এই নির্বাচন গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই সব ভোটারদের উচিত এতে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়া।

এর একদিন আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শুক্রবারের নির্বাচনে ভোট দেয়াকে জনগণের ‘ঈমানী দায়িত্ব’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।

তবে নেতাদের এই আহ্বানেও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না ইরানের সাধারণ মানুষ। ইরানের আল জাজিরা প্রতিনিধি জানান, পোস্টার-ব্যানারে ঢেকে থাকা সড়কগুলো ধরে যাওয়ার সময় লোকজন ভুলেও সেগুলোর দিকে তাকাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র দেশটিতে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকা। এসব পোস্টারের বেশিরভাগই সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের। আর ঘুরেফিরে তারাই যে নির্বাচিত হবে তাও নিশ্চিত বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এসব নির্বাচন নিয়ে তাই কোনও দেশেই ভোটারদের আগ্রহ থাকে না। ইরানও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রসঙ্গত, প্রতি চার বছর পরপর ইরানে পার্লামেন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ইরানে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেকোনো নাগরিকের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তিনি ভোটার হিসেবে গণ্য হন।
রাত পোহালেই ইরানের ‘ঐতিহাসিক’ নির্বাচন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *