শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: নেপিদোতে বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩১ পাঠক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার ২২ নভেম্বর ২০১৭: পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে চুক্তিতে উপনীত হতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দফতরের মন্ত্রী খিও তিন্ত সোয়ে।

বুধবার বিকালে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে এ বৈঠক শুরু হয়ছে।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তির শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তিটি সই সইয়ের সম্ভাবনা আছে। আবার দু-এক দিন দেরিও হতে পারে বলে নেপিদো থেকে একাধিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে চলতি সপ্তাহেই একটি স্মারক সই হবে। তার ভাষায় এরপরই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যে চুক্তিটি সই হবে তাকে বলা হচ্ছে, রাখাইন রাজ্য থেকে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত অ্যারেঞ্জমেন্ট। এ চুক্তি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে দু’দেশের কর্মকর্তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করছেন।

মিয়ানমার প্রথমে দুই দেশের মধ্যে ১৯৯২ সালের চুক্তির আলোকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার কথা বলেছিল। বাংলাদেশ বলেছে, সেই সময় এবং এখনকার চ্যালেঞ্জ এক নয়। ওই সময় রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পোড়ানো হয়নি।

বাংলাদেশ একটি নতুন চুক্তির খসড়া মিয়ানমারের কাছে আগেই দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নতুন চুক্তির কিছু অংশ সংশোধন করে নতুন চুক্তির ব্যাপারে মিয়ানমার রাজি হয়েছে। এখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর অন্তর্ভুক্ত থাকছে।

তবে মিয়ানমার বলছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর আসা রোহিঙ্গাদেরই তারা ফিরিয়ে নিতে চায়। বাংলাদেশ বলছে, এ দেশে পালিয়ে আসা সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে হবে। ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তিটি আজ-কালের মধ্যে যে কোনো দিন সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত আগস্টে রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীবিরোধী অভিযান শুরুর জেরে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পুরনো রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ।

অভিযানের সময় রাখাইনে মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হত্যা, ধর্ষণসহ নিপীড়ন চালায় বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *