শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

৮ বছরেও ক্লু পায়নি পুলিশ-র‌্যাব, ৭১ বার পিছিয়েছে প্রতিবেদন!

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৭৪ পাঠক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাত পোহালেই পূর্ণ হবে দেশের অন্যতম আরোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছর। হত্যার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত পুলিশ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার কোনও ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি।

দেশব্যাপী চাঞ্চল্যসৃষ্টি করা এই হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর পূর্তির একদিন আগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তালিক ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ৭১ বারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল।

এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাতের আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তালিক ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়। আদালতে আবারো সময় আবেদন করে সংস্থাটি। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ মাচ দিন ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

প্রথমে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। ৪ দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিচারের আশায় এখন আদালত ও সরকারের দিকে চেয়ে আছে সাগর সারোয়ারের মা সালেহা মনির। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর পর যদি সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হতে পারে, তবে আমাদের সন্তান হত্যার বিচার কেন হবে না। একদিন না একদিন বিচার হবেই। হয়তো আমি দেখে যাব, না হয় দেখে যেতে পারব না।’

‘প্রকৃত আসামি’ গ্রেফতার এবং বিচার চেয়ে সালেহা মনি বলেন, ‘তারা (আদালত) তদন্তের জন্য একটি সময় বেঁধে দিতে পারেন। যদি আমার সন্তানরা রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে থাকে তদন্ত করে দেখাক, আমি বিচার চাইব না। মামলায় যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা হতে পারে অন্য কোনো ক্ষেত্রে অপরাধী, তবে এ ঘটনায় নয়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *