নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, সৌদি আরব : সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশের কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের অংশগ্রহনে ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ছাত্রদের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরব বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং সচিব ফখরুল ইসলাম মেলায় যোগদান করেন ।
কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উৎসবে ২০ টি দেশের বিদেশী ছাত্ররা নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য, পোশাক ও খাবারের প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এ উৎসবে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন আরব ও আফ্রিকান দেশের মুসলিম ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্ররা তাদের স্টল দেশীয় বিভিন্ন খাবার, কারুশিল্প, গ্রামীণ ঐতিহ্য দিয়ে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে। স্টলে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের নাম বাংলায় লিখে তাদের বাংলা ভাষার সাথে পরিচয় করে দেয় বাঙালী ছাত্ররা । উৎসবে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে একটি রিকশায় করে অতিথিদের উৎসব প্রাঙ্গনে ঘোরানো হয়। বাংলাদেশের স্টলে দেশীয় ঐতিহ্য হিসেবে পালকি ও রাখা হয়। উৎসবে আগত ছাত্র ও অতিথিগন বাংলাদেশের পিঠা ও মিষ্টির প্রশংসা করেন।
আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী ছাত্ররা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। উৎসবের আয়োজকগণ বাংলাদেশী স্টলের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশী ছাত্রদের পড়াশোনায় ভালো ফলাফল ও নিয়মানুবর্তিতার ও প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন।
এ উৎসবে বাংলাদেশী ছাত্রদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ধুর্তপূ্র্ন সম্পর্ক ও বৃদ্ধি পাবে। তিনি সৌদি আরবে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রদের যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাস পাশে রয়েছে বলে জানান।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী ৩০ জন ছাত্র সম্পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। ছাত্রদের জন্য আধুনিক লাইব্রেরী ও উন্নতমানের ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে খুবই উন্নতমানের হোস্টেল। পড়াশোনার জন্য ছাত্ররা মাসিক বৃত্তির অর্থ পেয়ে থাকেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যার মধ্যে প্রায় ৭০ টি দেশের তিন সহস্রাধিক ছাত্র রয়েছে। বাংলাদেশী ছাত্র ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন বাংলাদেশী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে মিলনায়তনে (২৯ জানুয়ারি) ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।