1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

একজন ডাক্তার ও শিক্ষক -শামসুজ্জোহা বিপ্লব

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শুক্রবার,২৪ নভেম্বর ২০১৭: একজন ডাক্তার যদি তার সরকারী ডিউটি শেষ করে অবসর সময়ে তার নিজস্ব চেম্বার বসে রোগী দেখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাহলে একজন শিক্ষক কেনো সরকারী ডিউটি শেষ করে অবসর সময়ে ছাত্র পড়িয়ে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না?
জানতে পারলাম শিক্ষামন্ত্রীর নতুন খসড়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী নাকি, যে কেউ টিউশন, প্রাইভেট অথবা কোচিং করালে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জাতির প্রশ্ন কত টাকা বেতন দেন একজন প্রাইমারী, হাইস্কুল, কলেজের শিক্ষককে? কোনোদিন কি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন একজন শিক্ষক তার পরিবার, ছেলেমেয়ে নিয়ে কেমন আছে, কোথায় আছে? তাদের সংসার মাসের বিশ তারিখের পর কেমন চলে? স্যার, সহজ স্বীকারক্তি আপনাদের এসব জানবার কথা নয়।
মনের ভিতর প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, যদি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ শেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিতে যায়। তারাও কি এই আইনের আওতায় পড়বে? যদি পড়ে তাহলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কোথায়, কিভাবে শিখবে? তাদের কি ব্যবস্থা হবে? জাতির অধীর আগ্রহ জানার।
কিউরিয়াস মাইন্ড খুব জানতে চায়। শিক্ষামন্ত্রী কি কখনো স্কুলে, কলেজের বাইরে কিছু প্রাইভেট, কোচিং কিছু পড়েন নাই। আমার এটা বিশ্বাস হয় না। যদি উত্তর হ্যা হয়ে থাকে। তাহলে আদোও এই আইনের দরকার আছে কি? নিজে যেটা করেছি অন্যকে সেটা নিষেধ করাটা আসলে কতটা যৌক্তিক?
কিউরিয়াস মাইন্ড আরো জানতে চায়। আচ্ছা..! তাহলে কি আমরা গুরুর কাছে বাড়তি কিছু শেখার জন্য গুরুর বাড়িতেও যেতে পারবো না। নাকি সেটা প্রাইভেট, কোচিং, টিউশনির আন্ডারে পড়বে। চিন্তায় পড়ে গেলাম। জেনেশুনে কোনো টিচারকে বিপদে ফেলা উচিত হবে কি না? তাই ভাবছি।
ফ্রান্স…! তাহলে ভার্সিটির স্টুডেন্টদের কি হবে? যেখানে ভার্সিটির ম্যাক্সিমাম স্টুডেন্ট থাকে মধ্যবিত্ত পরিবারের। টিউশনির উপর নির্ভর করেই যারা কোনোমতে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। এবার এদের তো ছাঁদনাতলায়ও জায়গা হবে না। পড়ালেখা তো ছাদে উঠবে।
আমার ব্যঙ্গাত্মক কথায় মন্ত্রীসাহেবের সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হবে কি না জানি না? তবুও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলছি, স্যার আইনটা এভাবে করলে কি হয় না? ডাক্তার, শিক্ষক যে, যে পেশায় আছে তাদের নির্ধারিত সরকারী ডিউটির সময় কোনো কিছু করতে পারবে না। যেমন স্কুল কলেজের সময় বা ডাক্তার নির্ধারিত ডিউটির সময় কোন প্রকার টিউশন, প্রাইভেট বা নিজস্ব চেম্বারে বসতে পারবে না। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমার বিশ্বাস আইনটা এভাবে করলেই দেশ জাতি অনেকবেশি উপকৃত হবে। আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাও বাড়বে।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD