স্পোর্টস ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শুক্রবার,২২ ডিসেম্বর ২০১৭: চান্দিকা হাতুরুসিংহে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতীত। প্রায় এক মাসের বেশি সময় হল তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে প্রধান কোচের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা দলে। আর ভাগ্যের কি খেয়াল, লঙ্কান দলের কোচ হিসেবে তার অভিষেকই হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। আসছে জানুয়ারিতে বাংলাদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে আসতে যাচ্ছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে হাতুরুসিংহের পরীক্ষাটা সহজ হওয়ার কথা নয়। যদিও, তিনি বাংলাদেশের মাটিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো আসন্ন সফরটা (বাংলাদেশ) জিতেই যাচ্ছি। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, সামনে আমাদের আরও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। বড় লক্ষ্য থাকাটাও আবশ্যক।’
সেই ২০১৪ থেকে ২০১৭ অবধি বাংলাদেশের দায়িত্বে ছিলেন হাতুরুসিংহে। বাংলাদেশের শক্তিমত্তা কিংবা দুর্বলতা – সব কিছুর ব্যাপারেই তার ভাল ধারণা আছে। সেজন্যই হয়তো আগাম আশাবাদ জানিয়ে রাখলেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন গেল বুধবার। সেদিনই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তিনি। দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে (এসএলসি) কী শর্ত জুড়ে দিয়ে লঙ্কানদের দায়িত্ব নিয়েছেন সেটা অবশ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে স্বাধীনচেতা এই কোচ সেখানে অবাধ স্বাধীনতা পাচ্ছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসএলসির সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা নিজেই জানিয়েছেন, হাতুরুসিংহেকে সব ধরনের স্বাধীনতা দিতে রাজি তারা।
এ প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সেরা একজন কোচকে নিয়ে তাকে কাজের স্বাধীনতা না দেয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। আমি কোচ নই, আর বোর্ডের কেউই কোচের কাজ সম্পর্কে হাতুরুসিংহের চেয়ে বেশি ধারণা রাখে না। তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা এটাই বিশ্বাস করি। তবে আমরা এটাই আশা করব, সময়ে সময়ে তিনি আমাদের প্রশ্নের জবাব দেবেন।’ বাংলাদেশের দায়িত্ব পালনকালে যেন সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন হাতুরুসিংহে। দল নির্বাচন থেকে শুরু করে ফিল্ডারদের ফিল্ডিং পজিশন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতেন এই লঙ্কান কোচ। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় এমন স্বাধীনতা পাবেন কিনা সেটা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। কারণ শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পরিচালক ও দেশটির সাবেক ক্রিকেটারদের হস্তক্ষেপ কাজ করছে।
শ্রীলঙ্কার তিন সাবেক কোচ ট্রেভর বেলিস, জিওফ মার্শ ও গ্রাহাম ফোর্ড বিভিন্ন সময় বহিরাগত চাপের কথা স্বীকার করেছেন। ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারার পর দীনেশ চান্দিমালদের সাবেক কোচ নিক পোথাসও জানিয়েছেন, একাদশ নির্বাচন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ে বোর্ডের পরিচালক ও উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদদের প্রভাব ছিল।