শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরে আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ০ Views পাঠক
মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

 চাঁদপুর : চাঁদপুরে দিনের বেলায় একাধিক চুরির ঘটনায় জড়িত আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য জানান।

এর আগে ২৮ ও ২৯ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক চোর চক্রের সদস্যরা হলেন-যাত্রাবাড়ি করাটিতোলা এলাকার হাড্ডি হিমু (২২), আরিফ হোসেন (২০), কামাল খন্দকার (১৯), নারায়নগঞ্জ জেলার উদ্দমগঞ্জ সোনারগাঁও এলাকার সিফাত আহমেদ রাসেল (২৩), কুমিল্লা দাউদকান্দি নয়ন নগর এলাকার ইমন হোসেন (২০)।

ভূক্তভোগী চাঁদপুর শহরের মমিনপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন জানায়, গত ৭ ফেব্রæয়ারী হাজেরা নিবাসের চতুর্থ তলার ভাড়া বাসা থেকে তার ১৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও ২টি ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যায় চোর চক্র।

শহরের জোড়পুকুর পাড় এলাকার পারভেজ ভূঁইয়া রাজু জানায়, গত ২৫ ফেব্রæয়ারী সিরাজ খানের পঞ্চম তলা ভাড়া বাসা থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোর চক্র।

চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরে ইদানিং দিনে দুপুরে বেশ কয়েকটি বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের দিক নির্দেশনায় চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশীদ সেই নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া ও উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করেন।

পরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া ও উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান এবং আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ২৮ মার্চ রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার করাটিতোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গত ১৫ ফেব্রæয়ারী ও আজ ৩০ মার্চ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-২৮ ও ৬৯।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার সাংবাদিকরেকে বলেন, এই চোর চক্রের মূল হোতা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার বলিয়াদী গ্রামের রফিকুল হাসানের ছেলে ইফতেখারুল হাসান সাঈদ (২৪) কে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ আটক করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।

তিনি বলেন, ২৯ মার্চ রাতে চাঁদপুর শহরের পালকী হোটেল থেকে আসামী কালাম ও আরিফকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হিমু, রাসেল ও ইমনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। আরিফ ও ইমনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫টি এবং হাড্ডি হিমুর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রেস ব্রিফিং এর সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া, পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মোঃ মনির আহাম্মদ, উপ-পরিদর্শক মোঃ রাশেদুজ্জামান, আওলাদ হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই পাতার আওর সংবাদ