খেলাধুলা ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭: রাজশাহীর বিপক্ষে জয় পেয়েও বিপিএলে টিকতে পারলো না চিটাগং ভাইকিংস। এদিকে হারের গ্লানি নিয়ে বিপিএল থেকে বিদায় নিলো রাজশাহী কিংস।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৫ রানে জিতেছে চিটাগং।
১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৯ রানে থেমে যায় রাজশাহী।
রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও রনি তালুকদারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল হক। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন সামিত। ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ২৬ বলে ৬২ রান করা অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে রাজশাহীকে বড় ধাক্কা দেন রিস।
মুশফিকুর রহিম ও উসামা মিরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান রাজা। তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের বাঁধা উপড়ে ফেলেন তাসকিন আহমেদ।
নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে মোহাম্মদ সামি ও জাকির হাসানকে ফিরিয়ে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের আশা জাগান রাজা। পরের ওভারের প্রথম বলে তাকে হতাশ করেন কাজী অনিক। সেই ওভারের শেষ ৫ বল ঠেকিয়ে রাজশাহীকে অলআউটের হাত থেকে বাঁচান মুস্তাফিজ!
১৬ রানে ৪ উইকেট নেন অফ স্পিনার রাজা। জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডারের আগের সেরা ছিল ৩/৯। ১৪ রানে দুই উইকেট নেন সানজামুল।
আগে ব্যাট করতে নেমে লুক রনকি ও রিচির ৬৯ রানের জুটিতে বড় স্কোরের আভাস দেয় চিটাগং। ৩০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে ৪২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন রনকি। অধিনায়কের বিদায়ের পর সৌম্য সরকার মাঠে নেমে আবারও হতাশ করেন। মাত্র ১৬ বল খেলে করেন তিনি ১৭ রান, এই উইকেটটিও মিরাজের।
তারপর রিচি ও সিকান্দার রাজা দুইপ্রান্ত থেকে ঝড় তোলেন। ৮৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন তারা। ৫৬ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে ৮০ রানে টিকে ছিলেন রিচি। তিনটি করে চার ও ছয়ে ২০ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন সিকান্দার। শুধু ব্যাট নয়, বল হাতেও রাজশাহীকে ভুগিয়েছেন এই জিম্বাবুয়ান ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
এদিকে প্রথম ম্যাচে শীর্ষস্থানধারী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৪ রানে হারিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে খুলনা টাইটান্স।