উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের রেশ তখনো কাটেনি। ম্যাচের বয়স ৩ মিনিট। ডি-বক্সের কাছে ফ্রি-কিক পেল ইকুয়েডর। সেটা আটকাতে গিয়ে ভয়ংকর এক ভুল করলেন কাতারের গোলকিপার সাদ আল শিব। এগিয়ে গিয়ে পাঞ্চ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করলেন। প্রায় ফাঁকা পোস্টে বল পেয়ে হেডে গোল এনার ভ্যালেন্সিয়ার।
কিন্তু ভিএআর মুখে হাসি ফেরাল কাতারের দর্শকদের। গোলকিপারের ভুলই কাজে এল। এত দূরে চলে গিয়েছিলেন যে ভ্যালেন্সিয়া যখন হেড করেছিলেন, তার সামনে মাত্র একজন ডিফেন্ডার ছিলেন। কোনো গোলকিপার না থাকায়, ওই ডিফেন্ডার সামনে থাকার পরও অফসাইড। ফলে বাতিল হলো সে গোল।
এনার ভ্যালেন্সিয়া এতে অবশ্য হতাশ হননি। দুর্দান্ত ৪৫ মিনিটের প্রদর্শনীতে স্বাগতিক কাতারের সর্বনাশ করেছেন। ২-০ গোলে জয় পেয়েছে ইকুয়েডর। বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম স্বাগতিক দেশ হিসেবে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল কাতার।
অফসাইড
৩ মিনিটে একবার বেঁচে গেলেও সাদ আল শিবের দুঃস্বপ্ন অবশ্য সবে শুরু। ১৫ মিনিটে সেই ভ্যালেন্সিয়াকেই ফাউল করে বসলেন পেনাল্টি বক্সে। হলুদ কার্ডের সঙ্গে পেনাল্টিরও সিদ্ধান্ত রেফারির। শিবকে ভুল দিকে পাঠিয়ে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম গোলটা আবারও করলেন ভ্যালেন্সিয়া।
শুরু থেকেই কাতারের দুর্বলতা টের পাওয়া যাচ্ছিল। ইকুয়েডরের দুর্দান্ত গতির সামনে ছন্নছাড়া কাতার টানা দুই-তিনটির বেশি পাশ দিতে পারছিল না। ৫-৪-১ ফরমেশনেও বক্সের সামনে ফাঁকা জায়গা রেখে দিচ্ছিল কাতার।
সে সঙ্গে বাতাসে দলটির দুর্বলতাও টের পাওয়া যাচ্ছিল। মাঝে মাঝেই ক্রসে বল ভেসে আসছিল বক্সে। তাতে কাতারের ডিফেন্ডারদের পড়িমড়ি করে বল ফেরত পাঠানো দলটির রক্ষণ-দুর্বলতা বুঝিয়ে দিচ্ছিল। ৩১ মিনিটে ওভাবেই এলো দ্বিতীয় গোল। প্রেসিয়াদোর ক্রসটা দারুণ ছিল, এনার ভ্যালেন্সিয়ার হেডটা হলো আরও দুর্দান্ত।
পোস্ট ঘেঁষে যাওয়া বল ঠেকাতে পারেননি আল শিব। প্রথমার্ধে ভ্যালেন্সিয়া আরও বেশ কয়েকবার ভয় জাগিয়েছেন, তাকে ঠেকাতে ফাউল করাকেই অস্ত্র মেনেছে কাতার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছে কাতার। দুই-একটি আক্রমণও করেছে, কিন্তু ইকুয়েডর গোলকিপারের কোনো পরীক্ষা তারা নিতে পারেননি। আক্রমণ সৃষ্টিতে এই অর্ধেও এগিয়ে ছিল ইকুয়েডর।