সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

১০ বছরে রেমিটেন্স বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ১০ পাঠক
শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৮

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শুক্রবার,০৫ জানুয়ারী, ২০১৮ : দেশে বিগত ১০ বছরে সাড়ে চার গুণ রেমিটেন্স বেড়েছে। এ অগ্রগতিকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীতকরণের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছেন আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৯ হাজার ৭শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছে। যা ছিল এর পূর্ববর্তী ১০ বছরের তুলনায় প্রায় সাত হাজার ৭শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি। অনিবাসী বাংলাদেশীরা (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশ-এনআরবি) ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের সুবাদে বিগত কয়েক বছরে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে। এছাড়া সরকারের দক্ষ জনশক্তি বিদেশে প্রেরণের পদক্ষেপের ফলে প্রবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এখন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সুবিধার মাধ্যমে সহজে দেশে টাকা পাঠানো যায়।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, ডলারের বিপরীতে মুদ্রার হার ও তেলের দাম হ্রাস এবং বিধিবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় দেশে টাকা পাঠানোর প্রবণতার কারণে গত বছরের প্রথম কয়েক মাসে রেমিটেন্স কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক এই রেমিটেন্স বৈধ প্রক্রিয়ায় পাঠানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পর প্রবাসীরা বৈধ পথেই টাকা পাঠাতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।

রাজী হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবৈধ পন্থায় রেমিটেন্স প্রেরণ বন্ধের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কিছু মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এতে কিছু মোবাইল একাউন্ট চিহ্নিত হয়েছে। যা অবৈধ প্রক্রিয়ায় রেমিটেন্স প্রেরণে ব্যবহৃত হতো।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে প্রবাসীরা ৫৬২.৬২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে।

এছাড়া ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১০১০.৯৯ বিলিয়ন ডলার, ২০১৫-১৬ ১১৬৮.৫৭ বিলিয়ন ডলার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১১৮৯.৯৩ বিলিয়ন ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১১০৫.৮৪ বিলিয়ন ডলার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১১৫৬.৪৭ বিলিয়ন ডলার, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১০১৮.৮২ বিলিয়ন ডলার, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৮২৯.৯১ বিলিয়ন ডলার, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৭৬০.১১ বিলিয়ন এবং ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ৬৬৬.৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রবাসীরা ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৫৪২.৯৬ বিলিয়ন ডলার, ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ৪১৩.০১ বিলিয়ন ডলার, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৩২২.৭৬ বিলিয়ন ডলার, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ২৩৬.৪৮ বিলিয়ন ডলার, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ১৯৮.৭০ বিলিয়ন ডলার, ২০০২-০৩ অর্থবছরে ১৭৭.২৯ বিলিয়ন ডলার, ২০০১-০২ অর্থবছরে ১৪৩.৭৭ বিলিয়ন ডলার, ২০০০-০১ অর্থবছরে ১০১.৭০ বিলিয়ন ডলার, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৯৮.০৭ বিলিয়ন ডলার, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৮১.৯৮ বিলিয়ন ডলার এবং ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ৬৯.৩৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই পাতার আওর সংবাদ