শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, অনিয়ম দেখলে বাধা দিতে হবে বা চিৎকার করতে হবে, যেন সেটা মিডিয়ায় সঙ্গে প্রচার হয়ে যায়। অনিয়নের ভোটের ক্রেডিট আমি চাই না। যা সত্য তাই উঠে আসুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা শীর্ষক কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর-পর্বে সিইসি এমটি জানান।
এই কর্মশালায় দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী সিইসির কাছে জানতে চান- আপনি প্রিসাইডিং অফিসারকে বলেছেন, যদি নির্বাচন ঠিকমতো না হয়, তাহলে লিভ ইট। সারা দেশে যদি নির্বাচন ঠিকমতো না হয়, তাহলে আপনি কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, না হলে নির্বাচন হবে না। পুরো দেশের নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে, আবার হবে। ওই সেন্টারে বন্ধ হয়ে যাবে, আবার হবে। উই হ্যাভ টু বি ক্যারিজিয়াজ, উই হ্যাভ টু ডু দ্যাট।
এর আগে সিইসি তার বক্তব্যে বলেন, ভোটকেন্দ্রে সিইসি হচ্ছেন প্রিসাইডিং অফিসার। তাকে বলা হয়েছে যে, নির্বাচনে অনিয়ম হলে তা প্রতিহত করার উদ্যোগ নেবেন। না পারলে বাইরে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেবেন। তারপরও তা প্রতিহত করতে না পারলে সেখান থেকে চলে যাবেন। ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরে সেখানে আবার ভোট হবে। ভোট বন্ধ না করলে সেটিও ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
কর্মশালায় সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীরসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ডেইলী স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, এটিএন বাংলার প্রধান বার্তা সম্পাদক জ.ই. মামুন, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান, নিউজ২৪ টিভির নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, চ্যানেল২৪ টিভির নির্বাহী পরিচালক তালাত মাহমুদ প্রমুখ।