রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

আনিসুলের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই ফের বাস-ট্রাকের দখলে তেজগাঁও এলাকা!

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৮ পাঠক
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭: ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের আগের ঘটনা। তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার জায়গা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকতো শত শত ট্রাক, কাভার্ড ও পিকআপ ভ্যান। ফলে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা পথচারীদের চলতেও কষ্ট হতো। কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে সেই রাস্তা উচ্ছেদ করেন সদ্য প্রয়াত আনিসুল হক।

২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড পার্কিংমুক্ত ঘোষণা করেন তিনি। যদিও একাজ করতে গিয়ে তাকে অনেক বাধা-বিপত্তি ও এক শ্রেণির প্রভাবশালীর তোপের মুখে পড়তে হয়। এমনকি তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকার একটি ঘরে তাকে অবরুদ্ধও করে রাখা হয়। তবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এবং অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার না করে নগরবাসীর আস্থার প্রতিদান দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে রাতারাতি জনপ্রিয় মেয়রের তকমা পেয়ে যান। অতচ মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই সেই রাস্তা আবারও ট্রাক-ভ্যানের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে শুধু তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড নয়, অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করা মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও তেজগাঁও শিল্প এলাকার সড়কগুলো দখল নিয়েছেন বাস-ট্রাক, পিকআপ-ভ্যান চালকরা।

রাত হলেই তারা সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রাতে চলাচলরত পথচারী ও চালকরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় তেজগাঁও এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়কের দুই পাশে কোথাও এক লাইন, কোথাও দুই লাইনে করে পার্কিং করা হয়েছে শত শত ট্রাক ও বাস। এতে ভোগান্তি হচ্ছে রাতে ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনের।

বিশেষ করে মহাখালী থেকে মগবাজার ময়মনসিংহ রোডে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুরগামী বাসগুলো মূল সড়কে দুই লাইনে দাঁড়িয়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে কোনোভাবে একটি বাস কিংবা ট্রাক যাতায়াত করতে গিয়েও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে গভীর রাতেও দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। একই অবস্থা তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনের সড়কে। শত শত ট্রাক সড়কের দুই পাশে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

এই দুই এলকার রাস্তা দিয়ে কোনো রকম একটি বাস কিংবা গাড়ি পার হতে পারলেও নাবিস্কো থেকে গুলশান লিংক রোডসহ শিল্পাঞ্চল এলাকার রাস্তাগুলোতে এমনভাবে গাড়ি রাখা হয়েছে যে রিকশা চলাচল তো দূরের কথা মানুষ চলাচলেরও কোনো জায়গা নেই। রাস্তায় অবৈধ এই পার্কিংয়ের কারণে ওই এলাকায় চুরি ও ছিনতাই বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পথচারী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার টহলরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এক লাইন, দুই লাইন করে অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে বাস-ট্রাক। যার ফলে এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের উৎপাত বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীদের তৎপড়তা। জনগণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় দ্রুত রাস্তাগুলোকে দখল মুক্ত রাখা দরকার বলে মনে করেন তিনি। এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, রাস্তায় বাস-ট্রাক দাঁড়ানো না থাকলে এলাকায় চুরি-ছিনতাই হবে না। মানুষ নিরাপদে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *