বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: মাঝখানে গোলচিহ্নিত মানুষটি ঈশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান মিন্টু, বামের গোলচিহ্নিত লাঠি হাতে আরেকজন (সম্ভবত চেয়ারম্যানের গানম্যান)
অ- অ অ+
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষাদিবসে ঈশ্বরদী শহীদ মিনারের পাশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির আচরণে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন সবাই। ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমান মিন্টুকে লাঠি হাতে জনসমক্ষে এক ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে পেটাতে দেখা যায়। তার সঙ্গে আরেকজনও ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। তার হাতে বন্দুকের ব্যাগ ছিল, সম্ভবত চেয়ারম্যানের গানম্যান তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় শহীদদিবসে একজন জনপ্রতিনিধির এমন পাশবিক আচরণের ভিডিও-টি ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, পুষ্পস্তবক অপর্ণের জন্যে সেখানে গিয়েছিলেন মিন্টু। কিন্তু ফুল আনতে যিনি দেরি করেছেন তাকেই এভাবে মারা হচ্ছে। ইন্টারনেটে সবাই তার এমন আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। তার এই সন্ত্রাসমূলক আচরণের প্রতিবাদ উঠেছে ফেসবুকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ আশা করেছেন অনেকে।
ভিডিও-তে দেখা যায়, মানুষের একটা জটলা, মাঝখানে কিছু একটা ঘটে চলেছে। এক ব্যক্তি লাঠি হাতে কাউকে পেটাচ্ছেন। ওই মারমুখী ব্যক্তিকে কেউ একজন ঠেকানোরও চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাকে সামলানো যাচ্ছে না। একই সময় পাশেই চেয়ারম্যান মিন্টুকে দেখা যায় একজনের সঙ্গে ধস্তধস্তি করতে। যার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হচ্ছে তাকেই পেটানো হচ্ছে। তার চোখের পাশটা রক্তাক্ত।
এ অবস্থায় চেয়ারম্যানা তাকে মাটিতে শুইয়ে ফেলেন। প্রথমজন লাঠি নিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। চেয়ারম্যান আরেকজনের হাত থেকে লাঠি নিচ্ছিলেন মারার জন্যে। এরপর চেয়ারম্যানও পেটাতে শুরু করেন। চারপাশের লোকজনের বলার হয়তো কিছুই ছিল না। কারণ ক্ষমতাবান জনপ্রতিনিধি যখন এমন করছেন, তা ঠেকাতে গেলে নিজের কপালেও হয়তো এই নির্মম ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
https://web.facebook.com/probondho.rochona.5/videos/195989567816912/