বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম- / ৬১ পাঠক
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার কাছে সুযোগ ছিল শিরোপা ধরে রাখার। পুরো টুর্নামেন্টে আন্ডারডগ হিসেবে খেলে চমক দেখানো দলটি ফাইনালে ভারতের কাছে পাত্তাই পেলো না। আর তাইতো চার বছর পর আবারও এশিয়া কাপ শিরোপা নিজেদের করে নিলো ভারত। শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে অষ্টমবারের মতো এই শিরোপা জিতলো রোহিত শর্মার দল।

রোববার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তার এমন সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি ভারতীয় বোলাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা খেলতে পেরেছে কেবল ৯২ বল। এই সময়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ৫০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান এসেছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। দলের ৯ ব্যাটারই এদিন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের হয়ে ২১ রানে ৬ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মোহাম্মদ সিরাজ।

ফাইনালে পা রাখা পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। সেটাই এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াই জমার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগে শেষ হয়ে কলম্বোর গ্যালারিতে বসা ও টিভি পর্দার দর্শকদের হতাশ করলো তারা।

এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় প্রত্যাশা নিয়ে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ম্যাচের এক ওভারের গতিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে লঙ্কানদের ব্যাটিং। পেসার মোহাম্মদ সিরাজ চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন। ষষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত করে তুলে নিয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেট। তাতে ১২ রানে পড়ে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট! মাঝে কুশল মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তাকেও বোল্ড করেছেন তিনি। ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট স্বাগতিকরা, যা ভারতের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন ওয়ানডে স্কোর। সিরাজের আগুন ঝড়ানোর দিনে জ্বলে ওঠেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়াও। তার ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট। তাছাড়া জাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন এক উইকেট।

জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫১ রান। সেই রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬.১ ওভারে অনায়েসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। দলের হয়ে ১৯ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন শুভমান গিল। এছাড়াও ঈশান কিষান অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ২৩ রান করে।

এদিন ৫০ রানে অলআউট হয়ে এশিয়া কাপেরই সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরেও নাম উঠেছে তাদের। আর এমন লজ্জার দিনে বাংলাদেশকেও যেন কিছুটা রেহাই দিল লঙ্কানরা। আজকের ফাইনালের আগ পর্যন্ত এশিয়া কাপে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর ছিল বাংলাদেশের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সে রেকর্ড ভাঙল শ্রীলঙ্কা।

অন্যদিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্লে ২১তম ওভারে ৪৩ রানে ধসে গিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কা অল্পের জন্য ওই লজ্জাসহ ওয়ানডের সর্বনিম্ন ৩৫ রানে অলআউটরে লজ্জা থেকে রেহায় পেয়েছে।

পরিসংখ্যান এবং দলীয় শক্তির বিবেচনায় ভারত ফেভারিট হিসেবেই শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। দলটি সব বিভাগেই স্বয়ংসম্পূর্ণ। যা আবারও প্রমাণিত হলো। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের পাশাপাশি আক্রমণাত্বক বোলিং। তবে এশিয়ার ফাইনালে মঞ্চে শ্রীলঙ্কার শেষটা আরও ভালো হতেও পারতো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *