ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতের কবলে পড়া যাত্রীরা ওয়াজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

শুক্রবার ভোরে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ডাকাতরা কমপক্ষে ৩০টি অটোরিকশা আটকে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের মারধর ও দায়ের কোপে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, ৪-৫ জন আহত হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ শেষে ভোর ৪টার দিকে মুসল্লিরা অটোরিকশায় করে বাড়িতে ফেরার পথে চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌঁছালে ২০-২৫ জনের একটি ডাকাতদল যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিকশা আটক করে। পরে যাত্রীদের নামিয়ে সড়কের পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।

যাত্রীদের চিৎকার শুনে উদ্ধার করতে গিয়ে ডাকাতদের রামদায়ের কোপ খান সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবক। এতে তার হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ডাকাতদের মারধরে আহতদের মধ্যে আলফাজ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আলাল মিয়া, রমজান মিয়া, জোবাইদ মিয়া, আনালক মিয়া, আবু কালাম মিয়া, ভুট্টু মিয়া, হৃদয় মিয়া, আনাল হক, সাদ্দাম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, শরিফা বেগম, ইন্তেজ আলী, লায়েছ মিয়া, ফায়েজ মিয়া ও আব্দুল মালেক মিয়ার নাম জানা গেছে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আঙ্গুল হারানো সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আলফাজ মিয়া ও আলাল মিয়া জানান, তাদের সাথে প্রায় একশ যাত্রী ছিল। ডাকাতরা সবার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের মারধরে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হন।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার ভোররাতে বড়ইউরি গ্রামের পাশে অটোরিকশায় ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।