শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাঁদপুর জেলায় আতংকিত হয়ে, করোনা উপসর্গে ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে বহু পরিচিত মুখ। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ না কেউ। মহামারী এই করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেউ। সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন।
এপ্রিল মাস থেকে চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ৩ মাসে প্রায় শতাধিক মানুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইসলামী আন্দোলন চাঁদপুর জেলার স্বেচ্ছাসেবী টীম এই পর্যন্ত প্রায় ৮৪ জনের কাফন ও দাফন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশী।
চাঁদপুরে পরিচিত মুখদের মধ্যে কেউ আতংকে, হৃদরোগে, ক্যান্সারে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে-জেলা পরিষদ এর মহিলা সদস্য খোদেজা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার একেএম মোশারফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ণচোরা নাট্যাগোষ্ঠির সাবেক সভাপতি মো. রহুল আমিন, চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ার নুরুল আমিন খান (নুরু), চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার হাফেজ মাহমুদা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা ফাতেমা সুলতানা মনি, শাহরাস্তি উপজেলার মেহের দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফি আহমেদ মিন্টু, মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বাদল, কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল হাই মুন্সী, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ কাজী, চাঁদপুর রৌশন রাইস মিলস এর সত্ত্বাধিকারী তাফাজ্জল হোসেন কনা পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জের সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাত খান, বাবুরহাট এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন খান, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম (নজু ডাক্তার), কচুয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুর রহমান মাষ্টার, হাজীগঞ্জের আবুল কাশেম, আবদুল কাদের পাটওয়ারীসহ অনেকে।
করোনাকালে এই পরিচিত মুখ গুলি হারিয়ে চাঁদপুরবাসী মর্মাহত, এক অজানা আতংঙ্কযেন মানুষকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা এর সাথে পাল্লাদিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
অপরদিকে করোনা ভাইরেস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে চাঁদপুরের প্রশাসন রিলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও মানুষের উদাসিনতার কারনে নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা আক্রান্তের সংখ্যা।
চাঁদপুরের সচেতন মহল মনে করছেন, এখনই যদি প্রশাসন চাঁদপুরকে পুরো পুরি লকডাউক করে না দেয় তাহলে আগামী দিন গুলি ভয়াবহ অবস্থায় পরিনত হবে। তাই আর দেরী না করে এখনই কার্যকরি ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান মতে আক্রান্তের দিক থেকে চাঁদপুর জেলা রেড জোনে পরেছে। এখন দেখার বিষয় চাঁদপুরকে লকডাউন করা হয় নাকি।