রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

করোনায় আক্রান্ত দেশে তামাককে সহায়ক পণ্য ঘোষনায় ক্ষোভ প্রকাশ, সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার দাবি

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৯৯ পাঠক
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পুরো দেশ যখন করোনায় আক্রান্ত, একের পর এক জেলা লকডাউন করা হচ্ছে। অফিস-আদালত, কলকারখানা, গার্মেন্টসসহ যাবতীয় শিল্প উৎপাদন বন্ধ তখন শিল্প মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে দুটি বহুজাতিক তামাক উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে তামাক করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদন ও বিপণন কার্য পরিচালনার জন্য অনুমোদন প্রদান ও তামাককে করোনা সংক্রমণ “সহায়ক পন্য” হিসাবে ব্যাখ্যা প্রদান করে বিড়ি-সিগারেট বিপণন অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করে সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে করোনা পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন সংক্রান্ত শিল্প মন্ত্রণালয় এর নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং সাময়িকভাবে সিগারেট বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব (কনজুমারস অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম), চট্টগ্রামে তামাক বিরোধী সংগঠন বিটা (বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব থিয়েটার আর্টস) ও বেসরকারী উন্নয়ণ সংস্থা ইলমা।

উল্লেখিত সংগঠন সমূহের পক্ষে তামাক বিরোধী কর্মসুচি বিটার মিডিয়া ম্যানেজার উর্মি বড়ুয়া প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,শিল্প মন্ত্রণালয়ের ০৩ এপ্রিলের চিঠিটির প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে সংগঠনসমুসহ উপরোক্ত দাবি জানান।বিবৃতিতে সংগঠনগুলি দাবি করেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ পুরো জাতিকে হতাশ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয় তামাক কোনভাবেই কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ধূমপানের কারণে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশী থাকে। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হলেও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য বিরোধী এমন আচরণ জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি হতে পারে।

বিবৃতিতে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় ভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দেশ সিগারেট বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সুফল পেয়েছে। সেখানে বাংলাদেশে উল্টো, দুটো বহুজাতিক তামাক কোম্পানী করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদন কার্য পরিচালনার ও এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে। যা দু:খজনক ও নিন্দনীয়।

বিবৃতিতে বলা হয় বাংলাদেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় চার কোটি ১০ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার এই বিপুল প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠি বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠির ৪৯ শতাংশই তরুণ। আর এই তরুণরাই এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল নিয়ামক শক্তি। এ বিশাল তরুন জনগোষ্ঠিকে করোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্ত রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহন সময়ের দাবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *