বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে ক্যাব’র উদ্যোগে আদর্শ পোল্ট্রি খামারীদের জন্য নিরাপদ পোল্ট্রি বিষয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

বর্তমানকন্ঠ ডটকম । / ৩৮ পাঠক
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে ও স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদান বিষয়ে ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০ জুন ২০২১ইং নগরীর মোটেল সৈকত সাম্পান হলে অনুষ্ঠিত হয়। থানা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকিয়া খাতুন ও ক্যাব চট্টগ্রামের মনিটরিং কর্মকর্তা কৃিষবিদ আরিফ আহমেদ পোল্ট্রি উৎপাদনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত বিষয়ে করনীয় বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষনে খামারীরা কিভাবে তা নিশ্চিত করবে সেজন্য চেকলিস্ট, রেকর্ডপত্র কিভাবে সংরক্ষণ করবেন সে বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ঠ সাংবাদিক এম নাসিরুল হকের সভাপতিত্বে ও ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সংঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেয়াজুল হক জসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ প্রফেসর ডঃ ইদ্রিস আলী, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও বন গবেষনাগার শারিরীক শিক্ষা কলেজের অধ্যাপক এবিএম হুমায়ুন কবির।

সভায় বক্তারা খামারীদের উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিলে পরিবেশেন পর্যন্ত নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের করনীয় বিষয়গুলি কঠোর ভাবে অনুসরনের আহবান জানান। প্রতিযোগিতামুলক বাজারে একজন খামারী যদি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদান নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে সে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে পারবে না। আর উৎপাদনের কলাকৌশল প্রতিনিয়কই পরিবর্তন হচ্ছে। সেকারনে একজন উৎপাদককে কম খরচে উৎপাদনের বিষয়টি যেভাবে দেখতে হবে। একই সাথে পুষ্ঠিমান ও নিরাপদ পোল্ট্রি ভোক্তার কাছে যাচ্ছে কি না তাও নিশ্চিত করতে হবে। না হলে এই পোল্ট্রির বাজার অন্যের হাতে চলে যাবে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ সংক্রান্ত জ্ঞান আহরন ও কলাকৌশলগুলি জানা আবশ্যক। পোল্টি খাবার ও বাচ্চায় আন্টিবায়েটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার বিষয়ে ভোক্তাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে সার্টিফাইট পশু চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।

সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জসিম আরও বলেন বায়ো সিকিউরিটি সমৃদ্ধ (কন্ট্রোল শেড) খামারে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করলে অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আর যত্রতত্র, অপরিস্কার, অপরিছন্ন স্থানে মুরগি জবাই করে ভোক্তার কাছে মুরগি সরবরাহ করার কারনে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি পৌঁছানো অনেকাংশে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি পেতে হলে ফ্রোজেন (প্রক্রিয়াজাতকৃত) মুরগির বিকল্প নেই। আবার সুপারশপ গুলিও তাদের ভেন্ডরদের মাধ্যমে যে সমস্ত উৎস থেকে মুরগি ক্রয় করে থাকেন, সেখানেও নিরাপদ উপায়ে পোল্ট্রি উৎপাদন হচ্ছে কি না তদারকি দরকার। তাই ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ ব্রয়লার মুরগির মাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে উৎস স্থল পোল্ট্রি খামার থেকে গৃহিনীর রান্নায় পরিবেশন পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্যের অনুসরনীয় নিয়মাবলী কঠোর ভাবে মেনে চলার বিকল্প নেই। এছাড়াও সুপার শপগুলিতে বায়োসিকিউরিটিযুক্ত, প্রাণী সম্পদ অফিসের সনদপ্রাপ্ত, যথাযথ মান পরীক্ষা নিশ্চিত করে বাজারজাতকৃত মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রেসড(প্রক্রিয়াজাতকৃত) ব্রয়লার মুরগি বাজারজাতকরনে তদারকি জোরদার করতে হবে। কর্মশালায় ২০জন খামারী ও ১০জন স্থানীয় ক্যাব নেতৃবৃন্দসহ ৩৫ জন অংশগ্রহনকারী অংশনেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *