শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

টাকা দিলে মহাসড়কে অটোরিকশার চাকা ঘুরে!

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৭৩ পাঠক
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১০০ কি.মি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। হাইওয়ে পুলিশ ও কথিত চেকার নামের একটি চক্রকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কে এসব অটোরিকশা চলাচল করছে বলে জানা গেছে। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুঘর্টনা। সর্বশেষ ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে দিয়ে চৌদ্দগ্রামে ছুফুয়া গাড়িচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী তিন মেধাবী শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়।

মহাসড়কে অটোরিকশা যাত্রী বহন করার অপরাধে প্রতিদিনই অসংখ্য অটোরিকশা আটক করে কুমিল্লা অংশে মিয়াবাজার ও ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ। কিন্তু জরিমানা বাবদ নির্ধারিত রেকার বিল ২ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করার পরও ছাড়া পায় না আটককৃত অটোরিকশা।

অর্ধশতাধিক অটোরিকশা চালকরা অভিযোগ করে বলেন,জেলার মিয়াবাজার ও ময়নামতিসহ তিনটি হাইওয়ে থানার কয়েকজন অসাধু হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তার কারসাজিতে অতিরিক্ত ৩-৪ হাজার টাকা দিলেই মিলে যায় সব সমস্যার সমাধান। আবার কোথায় কোথায় টাকা পেলে মহাসড়ক থেকে এসব গাড়ি ছাড় পায় চালকেরা। এসআই ও ওসিকে দাবিকৃত টাকা না দিলে রেকার বিল পরিশোধ করার পরও ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত আটককৃত রিক্সা আটকে রাখা হয়। চালক ও মালিকরা রীতিমত জিম্মি হয়ে পড়েছে অসাধু কর্মকর্তাদের কাছে।

জেলার সুয়াগাজী এলাকার সিএনজি অটোরিকশা রাশেদুল হাসান জানান, মহাসড়কের চলাচলের জন্য প্রতিটি সিএনজি অটো রিকশা থেকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে হাইওয়ে পুলিশ ও প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে চেকারকে দিতে হয়। টাকা না দিলে অটোরিকশা ধরে মামলা দিয়ে দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশকে টাকা দিয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে হচ্ছে আমগো।

কুমিল্লা সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন,আমাদের কুমিল্লা অংশে তিনটি হাইওয়ে ফাঁড়ি ও থানা রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ অংশে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

অভিযোগে অস্বীকার করে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি এ কে এম মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, আমি বিগত দুই ধরে দায়িত্ব পালন করছে। এ সময় মধ্যে এমন কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে বিগত সময় কি হয়েছে বা কারা কি করছে আমি এ বিষয় কিছু বলতে ইচ্ছুক নয়। সত্যতা যাচাই করে জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ইনর্চাজ আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,আমি মাত্র কয়েকদিনে আগেই জয়েন করেছি। অতীতের কি হয়েছে এ বিষয় আমি মন্তব্য করতে রাজি নয়। তবে এমন অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।

এ বিষয় জানতে একাধিকবার জেলা হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্ল্যাহর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও,তিনি ফোনটি ধরেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *