শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭: বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন পতাকা বিক্রেতারা। বছরের সারা মাস তেমন ব্যস্ততা থাকে না তাদের। অনেকে বাকি মাসগুলিতে অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বিজয় উৎসবকে আরো অর্থবহ করতে মানুষের কাছে পৌঁছে দেন লাল-সবুজের বিজয় নিশান। পতাকা নিয়ে ছুটে চলেন নগরের এ গলি থেকে ও গলি। আবার কেউ কেউ পতাকা নিয়ে ফুটপাতে বসে যান বিক্রি করতে।
আর একদিন পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উল্লাস মাতবে দেশবাসী। বিজয় দিবসে লাল-সবুজের পতাকায় সাজবে পুরো দেশ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে পুরো জাতি দেশজুড়ে কাপড়ের পতাকার পাশাপাশি কাগজের পতাকা টানাবে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল এমনকী রিকশাতেও দেখা যাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
বিজয়ের মাস এলেই শহর-নগরের পথেঘাটে ফেরিওয়ালারা পতাকা বিক্রি করেন। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি মৌসুমী পেশা হিসেবে বেছে নেন তারা।
ঢাকা মহানগরীর গুলিস্তানে বাঁশের লাঠির সঙ্গে বিভিন্ন সাইজের পতাকা বিক্রি করছিলেন আলম।
তিনি নতুন সময়কে জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে গুলিস্তান, বংশাল, কাপ্তান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রয় করছেন তিনি। অন্য সময় সারা বছর তিনি বিভিন্ন প্রকাশনীর বই বাসে বিক্রি করেন।
বিজয়ের মাসের শুরু থেকে পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পতাকাশ বিক্রি করবেন তিনি।
আলম বলেন, ছোটবড় সবাই পতাকা কেনেন। পথচারী, রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে প্রাইভেটকারের চালক, মালিকও পতাকা কেনেন।
গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ফুটপাতে দোকান লাগিয়ে পতাকা বিক্রয় করছেন কামাল ও মানিক। তারা দুইজন বন্ধু। সারাবছরই বিভিন্ন দলের পতাকা বিক্রয় করেন। তবে ডিসেম্বরে শুধু জাতীয় পতাকাই বিক্রি করেন তারা। ভালোই বিক্রি হয় জানালেন তারা। তাদের কাছ থেকে অনেক ফেরিওয়ালাও পতাকা কেনেন।
মানিক জানান, তাদের পতাকা তৈরি করার কারখানা আছে। কাগজের পতাকাও তারা ছাপান। বিজয় দিবস উপলক্ষে মাথার ব্যাজ ও রিবনও তৈরি করেন। শিশুদের জন্য গালে লাগানোর পতাকার স্টিকারও তাদের কাছে পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ব্যবসা ভালোই হয় বলেও জানান মানিক।
বছরের অন্যান্য সময় বিভিন্ন দলের সমাবেশ উপলক্ষে কাঠি পতাকাও বিক্রি করেন তারা দুজন।