রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে রুল জারি করা হাইকোর্টের বেঞ্চ পরিবর্তন করে নতুন একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ৩ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন।
পরে আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। রুল জারি আদালত থেকে পরিবর্তন করে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় রাষ্ট্রপক্ষ।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ৬ জুন শ্রম আদালতের বিচারক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এই অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এর আগে অভিযোগ আমলে নেয়ার সময়ও হাইকোর্টে এসেছিলেন ড. ইউনূস। সে সময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে খারিজ হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
ইউনূস ছাড়াও এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহানকে আসামি করা হয়।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।