বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বুধবার,২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি”। আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, বরকত, রফিক, শফিক ও জব্বারদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলার রাজপথ। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে ভাষার জন্য লড়াইয়ের বিরল কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ।
এ দিনটিকে ঘিরে হৃদয়ের ভালোবাসা ও পরম মমতায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে পুরো জাতি। একুশের প্রথম প্রহরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
একইসঙ্গে রাত ১২টা ১ মিনিটে দেশের প্রতিটি শহীদ মিনারে শহীদের চরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে দেশবাসী। আগামীকাল বুধবার সারা দেশে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে থাকবে, ছোটদের চিত্রাঙ্কন, একুশের কবিতা পাঠ, দেশের গান সহ ভাষা সংগ্রামের উপর বিস্তর আলোচনা।
এদিকে রাত পোহানোর আগেই দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার শহীদ মিনারকে উদ্দেশ্য করে প্রভাতফেরী নিয়ে পথে নামবে আবাল-বৃদ্ধি-বনিতারা। দেশজুড়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে মিনারের বেদী।
জাতীয় ইতিহাসে এই দিনটি একদিকে স্মরণের, অন্যদিকে উজ্জীবিত হওয়ার। শত্রুর কারা প্রকোষ্ঠ থেকে মায়ের ভাষাকে ছিনিয়ে আনার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দামাল ছেলেরা। মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ৫২ সালের এই মাসে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার আত্মোৎসর্গ করেছিলেন। তাদের সে আত্মদানের কথা আজ বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে কার্যত ভাষা শহীদরাও বিশ্বব্যাপী বিরল সম্মান ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। হাজার বছর ধরে জাতির অভ্যন্তরে যে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য লালিত হয়ে আসছিল কার্যত ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।