বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

দৌলতদিয়ায় অলস পড়ে আছে বিআইডব্লিউটিএ’র দুটি পন্টুন

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪৫ পাঠক
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক | বর্তমাকণ্ঠ ডটকম-
প্রায় ২ কোটি টাকার উপর খরচ করে দৌলতদিয়া ঘাটে স্থাপন করা বিআইডব্লিউটিএ’র দুটি পন্টুন কার্যত অলস পড়ে আছে। এ পন্টুন দুটিতে ফেরি ভেড়ে না বললেই চলে। যে কারণে পন্টুনের দায়িত্বরত কর্মীদের তেমন একটা পন্টুনে দেখা যায় না।

ফেরি না ভেড়ার ব্যাপারে পন্টুনের সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এই পন্টুন দুটি বিআইডব্লিউটিএ’র বলে তাদের পন্টুনে ফেরি দেয়া হয় না। এখানকার ফেরি নিয়ন্ত্রণ করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তারা তাদের নির্ধারিত অপর ৪টি পন্টুন দিয়েই মূলত ফেরি সার্ভিস চালাচ্ছে। তবে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পন্টুন দুটি সাইজে একেবারে ছোট এবং তাদের অবস্থানগত কারণে সেখানে ফেরি যায় না। তাছাড়া পন্টুনের কর্মীরাও ঠিকমতো পন্টুনে থাকেন না। নিজেরা অন্য কাজে ব্যস্ত থেকে পন্টুনে বাইরের লোককে বদলি হিসেবে রেখে যান।

জানা যায়, প্রায় ৭ মাস আগে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের আবেদনের প্রেক্ষিতে যানবাহন পারাপারে গতিশীলতা আনতে নৌ মন্ত্রণালয় দৌলতদিয়া ঘাটে ছোট ফেরি ভেড়ার উপযোগী দুটি পন্টুন স্থাপনের অনুমোদন দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে।

দৌলতদিয়ায় স্থাপিত বিআইডব্লিউটিএ’র ২নং পন্টুনের লস্কর সহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় ১ মাস হতে চললো এ পন্টুনে কোন ফেরি ভেড়ে নি। এ সময় পন্টুনের সারেং রফিকুল ইসলামকে সেখানে দেখা যায়নি। মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি জরুরী কাজে আরিচা এসেছি। পন্টুনে ফেরি ভেড়ে না বলে সেখানে অলস বসে না থেকে আমরা মিলতাল করে পন্টুনে অবস্থান করি।

৪নং পন্টুনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার দায়িত্বরত সারেং তাহারুল ইসলাম ও লস্কর মিঠু মন্ডল কেউ নেই। তাদের বদলি হিসেবে স্থানীয় যুবক মনির হোসেন সেখানে অলস বসে আছে। মনির জানায়, এ পন্টুনে দুয়েকদিন পর পর ১-২টি ছোট ফেরি ভেড়ে। যে কারণে তাহারুল ও মিঠু ভাই না থেকে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। বিনিময়ে তারা আমাকে হাত খরচা বাবদ কিছু টাকা দেয়।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মিঠু মন্ডল দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র টোল বক্সে টোল আদায়কারীদের সাথে অতিরিক্ত কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। এ সময় তিনি দাবী করেন, এখন আমার পন্টুনে ডিউটি নেই বলে এখানে কাজ করছি। এখানে কাজ করলে দিন শেষে কিছু নগদ হাত খরচা পাওয়া যায় বলে তিনি অকপটে জানান।

পন্টুনের কর্মীদের তদারকিতে থাকা সারেং ইব্রাহিম হোসেন দাবী করেন, তাদের লোকজন ঠিকমতোই পন্টুনে থাকেন। তবে যেহেতু ফেরি ভেড়ে না তাই মাঝে মধ্যে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে একটু এদিক ওদিক গিয়ে থাকতে পারে। ফেরি ভেড়ার ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। বিআইডব্লিউটিসি’র ঘাটগুলোতে ফেরি জট লেগে থাকলেও এ ঘাট দুটিতে কোন ফেরি ভেড়ে না।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা ফেরিগুলো সাধারণত কাছাকাছি ৬, ৫ ও ৪নং ঘাটে ভেড়ে এবং ওখান থেকেই পুণরায় লোড নিয়ে ফিরে যায়। বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাট দুটি অনেকটা দুরে অবস্থিত এবং সেখানে লোকজন ঠিকমতো থাকে না বলে বিশেষ প্রয়োজন হলেও ঘাট দুটিতে ঠিকমতো ফেরি ভেড়ে না। বৈষম্যের অভিযোগ ঠিক নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *