শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

নিছক চাকুরি নয়, দায়িত্ব আরও বড় মহান: প্রধানমন্ত্রী

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪৯ পাঠক
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার, ২৬ নভেম্বর২০১৭: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের প্রতি দেশ ও জাতির স্বার্থরক্ষায় চাকুরিকে এক মহান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করার আহবান জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদেশে আপনারা একেকজন একেকটি বাংলাদেশ। আপনাদের কাজ নিছক চাকুরি করা নয়, আরও অনেক বড় এবং মহান কিছু করা। মনে রাখবেন- দেশের ১৬ কোটি মানুষের হয়ে আপনারা একেকটি দেশে প্রতিনিধিত্ব করছেন। কাজেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সব সময় দেশের স্বার্থে আপনাদের কাজ করতে হবে।’

রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনরত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং স্থায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথমবারের মত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী দূত সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানের জটিল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী হবে সে বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্যই এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব দেশে আমাদের অধিক সংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন, সেসব দেশে তাদের প্রতি আলাদা নজর দিতে হবে। তারা যাতে কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বিপদে-আপদে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’

প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমার দেশের নাগরিক, তাদের ভালো মন্দ দেখা, তাদের সুযোগ- সুবিধা দেখা, অসুবিধাগুলো দূর করা-এটা কিন্তু আপনাদের কর্তব্য। প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতকে আমি অনুরোধ করবো আপনারা যেখানেই থাকেন অন্তত আমাদের প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে সপ্তাহ বা মাসে একটা দিন সময় দিয়ে তাদের সমস্যাগুলো শুনবেন এবং সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।’

এসময় তিনি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরে বলেন, ‘সংসার-পরিজন ফেলে প্রবাসীদের কষ্টে অর্জিত রেমিটেন্স আমাদের রিজার্ভের বড় অংশ। প্রবাসীরা বাংলাশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে চলেছে।’

জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই মাটিতে কোনরকম জঙ্গিবাদ আমরা হতে দেব না। আমাদের ভূখণ্ডকে কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্যও আমরা ব্যবহার করতে দেব না। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান চাই।’

ভাষণে প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেয়ার পাশাপাশি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আন্তঃসংযোগ বা কানেকটিভিটির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে সম্মতিপত্র স্বাক্ষর হওয়াকে ‘বিরাট সাফল্য’ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই সমস্যা সমাধানে কেন আমাকে তৃতীয় কাউকে ডাকতে হবে? ১৯৯৮ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটা সত্য যে, আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে পাঠানো সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *