শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে প্রশ্নপত্র: মাধবদীতে আলোচিত শিক্ষিকা ফরিদা পারভীনসহ ৪ জনের কারাদন্ড

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪০ পাঠক
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

খন্দকার শাহিন,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শনিবার,১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ :
এস.এস.সি গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে উত্তরপত্র তৈরি করে দেয়ার সময় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে মাধবদী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের কেন্দ্রে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম রেজা এ কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডপাপ্তরা হলেন- মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউশনের আলোচিত সিনিয়র শিক্ষিকা ফরিদা পারভীন, মেহেরুন নেসা লাইব্রেরিয়ান অঞ্জন দেবনাথ ও অভিভাবক মোখলেছুর রহমান।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক মেহেরুন্নেসা ছাড়া বাকি তিনজনের সন্তানেরা মাধবদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী। তাঁরা সবাই মাধবদী এস.পি ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষক ফরিদা পারভীন তার বাসায় প্রশ্নপত্রের সমাধান করা হছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম রেজার নেতৃত্বে শিক্ষকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ও তাঁর সমাধানসহ অভিযুক্তদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাদের কেন্দ্রে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত এসপি ইনস্টিটিউশনের দুজন শিক্ষিকা, একজন লাইব্রেরিয়ান ও একজন অভিভাবক প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাধবদী এস.পি ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র শিক্ষিকা ফরিদা পারভীনের মাধবদীর ছোট গদাইরচরের বাসায় নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় নেত্রকোণা জেলার লাউখাই গ্রামের শিশু গৃহকর্মী ফারজানা আক্তার সেতু (৯)। ঘটনার পরপর পুলিশ ফরিদা পারভিনকে হত্যায় দায়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘাতক শিক্ষিকার প্রভাবশালী আত্মীয়দের তৎপরতায় নিহত শিশুর পিতা হবি উদ্দিনকে ম্যানেজ করে ওই রাতেই পুলিশ প্রশাসন খোলা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা রুজু করে। পরে রাতের আঁধারে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ঘাতক ফরিদা পারভীন ছাড়া পাওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে মাধবদী এস.পি ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারন মানুষ। এছাড়াও প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠে প্রতিবাদের ঝড়। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অভিভাবকরা জানান, “যে শিক্ষিকার কাছে শিশু গৃহকর্মী নিরাপদ নয়, তার কাছে শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ??” এতো কিছুর পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। গৃহকর্মী মৃত্যুর ঘটনায় শহরের “টপ অব দ্যা টপিক” হয়ে বেশ আলোচিত হন ফরিদা পারভীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *