সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় অমর একুশে গ্রন্থমেলা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪২ পাঠক
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: বাহারি মলাটে ঘেরা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-গবেষণা ও অনুবাদের বই নিয়ে সাজানো স্টলগুলোতে এখন বইপ্রেমীদের অপেক্ষা, ভাষার মাসের শুরুতে বৃহস্পতিবার উঠছে মাসব্যাপী বইমেলার পর্দা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ৩৪তম অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথি লেখক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যের এগনিস মিডোসম, ক্যামেরুনের ড. জয়েস অ্যাসউন টেনটেন, মিশরের ইব্রাহিম এলমাসরি ও সুইডেনের অরনে জনসন। এই অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ দেওয়া হবে। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ঘুরে দেখবেন।

রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মেলার পরিসর এবার আরও বেড়েছে।বেড়েছে বইয়ের স্টল নিয়ে বসা প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা।

প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট এলাকায় ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলা একাডেমিসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে। এই কর্নারকে শিশুকিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশুপ্রহর’ ঘোষণা করা হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ।

মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, “প্রতিবারই লক্ষ্য থাকে আগের চেয়ে আরও সুন্দর ও গোছানো মেলা উপহার দেওয়ার। এবারেও সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি, বিশাল পরিসরের এ মেলা এবার অন্য যে কোনোবারের চেয়ে নান্দনিক ও সফল হবে।”

‘ধর্মীয় অনুভূতি’ নিয়ে তৎপর মন্ত্রী

‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে’ এমন কোনো বই প্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে এসে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “নীতিমালা অনুযায়ী আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এসব বইয়ের প্রকাশনা নিরুৎসাহিত করি। তারপরও যদি কোনো প্রকাশনা সংস্থায় এমন বই প্রকাশ করা হয়, তবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।

“শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই ই না, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো প্রকাশনা পেলেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”

মেলায় উসকানিমূলক বই রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বাংলা একাডেমিতে ইতোমধ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও মেলার বইয়ের ব্যাপারে নজর রাখবে বলে জানান মন্ত্রী।

মেলা চলাকালে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি নানা স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেলার পরিচালক জালাল আহমেদ।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও প্রবীণদের চলাচলের সুবিধায় এবার হুইল চেয়ারের সংখ্যা গতবারের চেয়ে বাড়ছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *