শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

বজ্রপাতে তিন জেলায় নিহত ৫

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪৪ পাঠক
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম সোমবার, ০৭ মে ২০১৮: বজ্রপাতের মৃত্যুর মিছিলে আরো যোগ দিলেন পাঁচজন। সোমবার (৭ মে) দুপুরে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্রীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও মৌলভীবাজারের পৃথক কয়েকটি স্থানে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ : জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় সোমবার (৭ মে) সকালে বজ্রপাতে শারমিন আক্তার (১৬) নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার কৈচাপুর ইউনিয়নের রুহিপাগারিয়া গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সেখানকার নিচপাড়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে ছাত্রী ছিল।

তার পরিবার ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে প্রাইভেট পড়ে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা নিয়ে বাসায় ফিরছিল শারমিন। সকাল নয়টার দিকে বাড়ির কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে আহত হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিচপাড়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু নোমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেরপুর : জেলার নকলা, শ্রীবরদী ও সদর উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন নকলা উপজেলার মুচারচর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম (৩২), শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামের কুব্বাত আলী (৬০) ও সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামের মো. আবদুর রহিম (৫০)।

উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে মুষলধারে বজ্রবৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল ১০টার দিকে নকলা উপজেলার মুচারচর গ্রামে খেত থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার সময় শহিদুল ইসলাম বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খেতে ধান কাটার সময় কৃষক কুব্বাত আলী বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আনিসুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামে ধান কাটার সময় মো. আবদুর রহিম বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নকলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান, শ্রীবরদীর আরএমও আনিসুর রহমান ও সদরের ইউএনও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৌলভীবাজার : জেলার শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে বজ্রপাতে মফিজ মিয়া (২৮) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রশীদ মিয়া (৩৬) ও মো. রফিক মিয়া (৬০) নামের দুজন গুরুতর আহত হন। নিহত মফিজ পেশায় জেলে ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার বরুণা গ্রামে। আহত রশীদ ও রফিক পেশায় কৃষক।

উপজেলার কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *