রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কখনো দেখা বা কথা হয়নি তার ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দেয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির। তবে ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় ১০-১৫ জনের একটি জুম মিটিংয়ে বাইডেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ। এর আগে এদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম কারা গেটে আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারের মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির ডিবিপ্রধান বলেন, ‘ঢাকায় ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপির হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, পুলিশের গায়ে আঘাত করা, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও সন্ধ্যায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে সঙ্গে নিয়ে হাসান সোহরাওয়ার্দীর পার্টি অফিসে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন একসূত্রে গাঁথা। এর সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত। আমরা তাদের অনেককে ধরে এনেছি, জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের পর তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিছু বিষয়ের উত্তরও পেয়েছি। তবে, কিছু বিষয় অস্পষ্ট ও দ্বিমত থাকায় আমরা কারাগারে আরেফীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে আরেফি বলেছেন, তিনি ওই সেনা কর্মকর্তার ট্র্যাপে পড়েছেন। তার কথাতেই মিথ্যা পরিচয়ে বক্তব্য রাখেন।’
‘তিনি আমাদের বলেন, তাকে দেশে এনে বিভিন্ন নেতা-কর্মীর নম্বর দেন। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নম্বর দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। তিনি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসায়ও যান। এসব কাজ করতে সহায়তা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।’
এই কাজগুলো করার পেছনে আরেফির কী উদ্দেশ্য বা লাভ ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তার লাভ বলতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ভালো অবস্থানে যাবেন। তখন তাকে দিয়ে তিনি লাভবান হবেন বা ভালো কিছু পাবেন। এসবের জন্যই এটি করেছেন। তবে আরেফী স্বীকার করেছেন যে, তিনি বুঝতে পারেননি, তার সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত।’