মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

বিএনপি ভোটে আসলে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে : ইসি রাশেদা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৯৯ পাঠক
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

বিএনপি ফরমালি ভোটে আসালে তাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসি এখনো আন্তরিক। বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া অন্যান্য দলগুলো সংসদ নির্বাচনে আসলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন।’

সোমবার (২০ নভেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যদিকে তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। সেই বিবেচনায় তফসিল একটু পেছানো যায় কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আসলে তো বিবেচনা করবই। অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক। অগ্রিম আমি এই বিষয়ে কিছুই বলব না, কিছু বলা উচিতও না। যখন পরিস্থিতি আসবে তখন দেখা যাবে। ওনারা (বিএনপি) যদি আসেন আমরা ওয়েলকাম করব। বিএনপি নির্বাচনে আসলে আইন মেনে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’

একটি বড় দল (বিএনপি) এবং আরও অনেক দল ভোটের বাইরে আছে, তারা যদি ভোটে ফিরতে চায়, এই তফসিলে কি ফেরা সম্ভব- এই প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানামতে পূর্বেও উনারা এসেছিলেন। এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। উনারা যদি ফিরতে চান, কিভাবে কী করা যাবে, নিশ্চয় আমরা আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। উনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করব। কখনোই চাইবো না যে উনারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরিয়ে দেব। এটা হবে না।’

ইসির বিবেচনায় কী পন্থা আছে জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কী পন্থা আছে এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে উনারা আসছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু উনাদের জন্য একটু স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব।’

রাশেদা সুলাতানা আরও বলেন, ‘সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি উনারা আসেন, কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে আমরা দেখব। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, আমরা বাড়াব। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোন অসুবিধা নাই। যদি এই তফিসলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নাই।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নিশ্চয় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস আছে। মাঠে রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না এমন কোনো কথা না। যে কোনো মুহুর্তে শান্ত হতে পারে।’

তিনি দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভাল সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনয়ন করবেন। নিশ্চয় আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করব।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *