রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

মধুখালীতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

শাহজাহান হেলাল, ফরিদপুর । / ২৫ পাঠক
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ ক্ষেতের মধ্যেই সাথী ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপণ করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোন প্রকার চাষাবাদ করতে হয় না। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই বেড়ে উঠে মিষ্টি কুমড়া। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন। জমিতে কুমড়ার মাচা হিসেবে ব্যবহার হয় মরিচ গাছ। এতে চাষিদের বাড়তি খরচ করে মাচা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। মরিচ গাছের মাচার নিচে ঝুলে থাকে মিষ্টি কুমড়া। উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে।

প্রতি হেক্টর জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা, আর কুমড়া বিক্রয় হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। ভাল দাম পাওয়ায় তাদের মুখেও হাসি। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের চাষী মোঃ আলীমউদ্দিন শেখ জানান ৩৫ শতাংশ জমিতে মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। ফলন ভাল হয়েছে। প্রায় ৪শতাধিক কুমড়া ধরেছে। প্রতিপিস কুমড়া ৭০/৮০ টাকায় বিক্রয় হবে। সে হিসেব মতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তামোঃ আলভী রহমান বলেন উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৪শত ৩০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ৩০ হেক্টর জমি বেশি। এ অঞ্চলের মাটি মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযোগী হওয়ায় নিরাপদ প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কুমড়ো চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *