মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী ও সিইসি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টি ও তার পরিবার

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঢাকা । / ২৪ পাঠক
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

২৪ অক্টোবর রোজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টি ও তার পরিবার বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টি’র মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধার ডিজিটাল আইডি কার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার দাবীতে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মানবাধিকার নেতা নবাব সালেহ আহমেদ। পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টি’র বড় মেয়ে শিল্পী বেগম, মেঝো মেয়ে শিরিন আক্তার ও ছোট মেয়ে রোজা আক্তার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তার বোন খালেদা বেগম, নাতি ইয়াসমিন, খুশি, মোঃ জুনায়েদ খান, আবু বক্কর সিদ্দিক পরান সহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী ও সিইসি’র হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি বলেন গত ১৬/০৮/২০২১ তারিখে মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বরাবর আমার করা দরখাস্তে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন আঞ্চলিক কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। আমি সেই কাগজ জেলা কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আমার দরখাস্তের কাগজ রেখে আমাকে কোন রিসিভ কপি প্রদান করেন নি এবং সংশোধনের কোন উদ্যোগ নেননি। বরং আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। গত ১০ বছর ধরে আমি ভোট দিতে পারছি না। আমার গোটা পরিবার আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত। তার পরেও বীরঙ্গনা হয়েও আমার লাঞ্চনা বঞ্চনা সহ্য করতে হচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার বড় মেয়ের স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার বিবাহযোগ্য ছোট মেয়ের আজও বিয়ে হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী আমাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে আমার সমভ্রমহানী করেছে। এটিকি আমার অপরাধ ?

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আমি এক অসহায় মা, অসহায় নারী। আপনাদের কাছে আজকে শুধু ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে ছুটে এসেছি। এখানে আমার থাকার কোন যায়গা নেই। আমি ন্যায় বিচার চাই।

এ সময় সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টির সমস্যার সমাধান না হলে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও সিইসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও একজন বীরঙ্গনা যখন তার ভোটের অধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের অধিকার পাওয়ার জন্য রাজপথে নেমে আসে এটি আমাদের জাতীয় লজ্জা। আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই লজ্জা থেকে রক্ষা করবেন। তিনি আরো বলেন বীরঙ্গনা হাজেরা কুট্টির খেতাব প্রাপ্ত গেজেট নং: ৩১৭ তারিখ: ২৯ জুলাই ১৯১৯। তিনি সকল তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও কেন আজও বঞ্চিত হবেন তা আমরা জানতে চাই। সকলের কাছে অনুরোধ করবো তার পাশে দাড়ানোর জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *