রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান আতিকুর রহমান রুবেল। বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এম.পি এর সহকারি একান্ত সচিব হিসেবে নিযুক্ত আছেন। উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নে তার জন্ম। ছোট বেলা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া এই যুবকটি আজও মানবতার কল্যাণে নিযুক্ত রয়েছে। নিজ কমস্থলে থেকেও নিজ জন্মভূমির প্রতি যার রয়েছে ভালোবাসা।
ফলে নিজ এলাকার উন্নয়নের জন্য সর্বচ্চো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর মতে, রুবেল একজন মানবিক যুবক। তার কাছে মানব সেবাই পরম ধর্ম। যিনি সমাজের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন কোনো স্বার্থ ছাড়াই।
কাঠালিয়া ও বেতাগী উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরনের লক্ষে সম্প্রতি কাঠালিয়া-রাজাপুর আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সহযোগিতা নিয়ে আতিকুর রহমান রুবেল বিষখালী নদীর কচুয়া টু বেতাগী স্থানে ফেরি স্থাপনের জন্য প্রচেষ্ঠা চালিয়ে সফল হয়েছেন।
সম্প্রতি বিষখালী নদীতে কচুয়া টু বেতাগী ফেরি চালুর জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নিতিগত অনুমোদন হয়েছে। সওজ হেড কোয়ার্টার সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর থেকে প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস গত ২৬ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক বরাবরে পত্র প্রেরন করে নদীর হাইড্রোগ্রাফি প্রতিবেদন চায়। ২০১৬ সাল থেকে সওজ পত্র দিলেও কোন রিপোর্ট সওজ পায়নি।
পরে আতিকুর রহমান রুবেল বিষয়টি আমলে নিয়ে নিজ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন এবং নিজ খরচে নদীর ম্যাপ তৈরি করে গত ১ সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক শামছুন্নাহার স্বাক্ষরিত পএ সড়ক ও পরিবহন অধিদপ্তরে পৌছে দেন।
সেই সাথে সওজ হেড কোয়ার্টার থেকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর স্বাক্ষরিত পত্র গত ৬ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ পত্রের আলোকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও কচুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজে (রুবেল) আবেদন করে ২৩ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করিয়ে দিয়েছেন। যার কাজ এখনও চলমান রয়েছে । এর আগে উপজেলার ৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেতে বই কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দও এনে দেন নিজে আবেদন করে। এলাকার সাধারন মানুষের খাবার পানির অভাব দূর করতে গভীর নলকূপ স্থাপনে সহযোগীতা ও সম্প্রতি উপজেলার ডাকঘরের নতুন ভবন নির্মান ও উপজেলা সদর বা শৌলজালিযার কচুয়া পয়েন্টে ২০ শয্যা হাসপাতাল নির্মানের জন্য সংশ্লষ্টি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। তাছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যক্তিগত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মহামারি করোনা কালে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করেন তিনি।
আতিকুর রহমান রুবেল বলেন, সকল উন্নয়নের পিছনেই সরকারের অবদান তবে আমি শুধু নিজ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নিজের অবস্থান থেকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে নিজ এলাকার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকি ততদিন পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিবো। আমার সাধ্য অনুযায় আমি মানুষ কে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আজীবন করবো ইনশাল্লাহ।