রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

মিথ্যা অভিযোগ, শ্রম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি ড. ইউনূসের

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ২০৮ পাঠক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

‘শ্রম আইন লঙ্ঘন করেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ শ্রম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালত চত্বরে যান তিনি। তৃতীয় শ্রম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার এজলাস কক্ষে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। এরপর আদালতের এজলাস কক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহানও কাঠগড়ায় দাঁড়ান।

পরে ১টা ১৬ মিনিটে শারীরিক অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক ৪ বিবাদীকেই কক্ষের ভেতরে বেঞ্চে বসে শুনানি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত বক্তব্য পড়ছেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

৩৪২ ধারায় ড. ইউনূস সহ ৪ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জবানবন্দীতে বলা হয়, শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় সরকার অনেক গুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এটি কোন ভাবেই ফৌজদারি অপরাধ না।

দেশের উন্নয়নে ড. ইউনূসের ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেখান যিনি দেশের জন্য এত কাজ করেছেন। এতগুলো বিদেশি ব্র্যান্ড কোম্পানিকে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে এনেছেন। এত এত মানব সম্পদ তৈরি করেছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা কোন কিছুই তিনি নিজের কোন আর্থিক লাভের জন্য করেননি। এ ধরনের অসংখ্য অবদান রাখার পরও এই নিঃস্বার্থ মানুষটিকে মিথ্যা অপরাধে দাঁড়াতে হচ্ছে বিচারের কাঠগড়ায়।

মূলত, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বাদী হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। এতে ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইন ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *