শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সফলতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংস্কার: নাহিদ রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি ও সমাধান মিয়ানমারে: প্রধান উপদেষ্টা দেশ সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব নয়, এটা প্রকৃতির মতোই চলবে : ড. আব্দুল মঈন খান ডা. নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড বারনামাকে ড. ইউনূস জনগণ কী চায়, সেটাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করি নির্বাচনে অংশ নেব না, সংস্কারই অগ্রাধিকার: ড. ইউনূস অতিরিক্ত আইজি হলেন পুলিশের ৭ কর্মকর্তা নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপেদষ্টা মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: তারেক রহমান

বই ধরলেই ঘুম পায়? মনোযোগ বাড়াবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ২০৮ পাঠক
প্রকাশকাল রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

বই ধরলেই রাজ্যের ঘুম যেন চোখে এসে জমা হয়। এই বইয়ের গন্ধই যেন ঘুমের ওষুধ। শিশু, কিশোর থেকে বয়স্ক—সবাই এ সমস্যায় পড়েন। মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখলে যে ঘুম পালিয়ে যায়, বই ধরলে সেই ঘুম যেন টা যেন ঝাপটে এসে ধরে।

ঘাঁটতে বা অন্য কোনও কাজের ক্ষেত্রে যেটা সহজ, বই খুলে বসলেই সেটা সবচেয়ে কঠিন হয়ে যায়। আর এর প্রভাব পড়ে পড়াশোনায়। পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তবে এর জন্য কয়েকটি বিষয়ে জোর দিতেই পারেন।

এই টিপস যেমন ছাত্রদের জন্য় প্রযোজ্য, তেমনই অভিভাবকদের জন্যও। পড়ার সময় সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ায় যাতে প্রভাব না পড়ে এর জন্য় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমও প্রয়োজন। একটা রুটিন মেনে চলা গেলে এই সমস্যা সহজেই মেটানো সম্ভব।

পড়াশোনার জন্য যেমন একটা নির্দিষ্ট রুটিন প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন পরিবেশও। একটা শান্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা, যেখানে মনঃসংযোগ করা সম্ভব। ঘুম কাটাতে বা তা যাতে পড়ায় ব্যাঘাত না ঘটায়, এর জন্য প্রয়োজনে জোরে জোরে পড়ার অভ্যাসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

মনঃসংযোগ ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত বিরতিও প্রয়োজন। অর্থাৎ টানা বইয়ে ডুব না দিয়ে ক্রিকেটের বোলিংয়ের মতো ছোট ছোট স্পেলে পড়া যেতেই পারে।

তাতে উপকারও হবে। পড়ার সময় যে শুধু মস্তিষ্কেই চাপ পড়ে তা নয়। শরীরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও টুকটাক খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সেগুলো যেন খুব মসলাদার খাবার না হয়। আর শারীরিক কসরতও করা উচিত নিয়মিত। শরীর ফিট থাকলে মানসিকভাবেও তরতাজা থাকা যাবে।

আরো একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। পড়ার সময় অতিরিক্ত কম্ফোর্ট জোনে না থাকাই ভালো। অনেকেই হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে পড়তে ভালোবাসেন। তার কাছে মনে হতেই পারে এটাই সেরা অপশন। আদতে কিন্তু পড়ার চেয়ে বেশি ফোকাস গানেও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। অনেকেই শুধু স্টাডি ল্যাম্প জ্বেলে পড়তে বসেন। ঘরের বাকি অংশ অন্ধকার। ঘরে পর্যাপ্ত আলো জ্বেলে পড়তে বসলে বেশ একটা ঝলমলে পরিবেশ থাকে। এতে ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনাও কম।

আরো একটি কাজ করা যেতে পারে, অনেক সময় একা পড়তে বসলে নানা ভাবনা মাথায় ঘোরে। গ্রুপ স্টাডির ক্ষেত্রে একটু আড্ডা, একটু পড়াশোনা, কোনো সাবজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা যায়। এ ক্ষেত্রে লাভ ছাড়া ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

সূত্র: টিভি ৯ বাংলা


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর