অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফের বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত এক শিশু নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, রবিবারের হামলায় জাবালিয়া শহরের আল-বারশ এবং আলওয়ান পরিবারের একটি আবাসিক ব্লকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। কয়েক ডজন মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতদের অনেককে কাছাকাছি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘সম্পূর্ণ ভীতিকর দৃশ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ধ্বংসকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছে। ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, তিনি উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার কারণে শঙ্কিত।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর একটি ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল স্কোয়াডে আঘাত হেনেছে। অপরদিকে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলায় দামেস্কের কাছে অন্তত দুজন নিহত হয়েছে।