বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

শৈলকুপায় কাঁচেরকোলে ছাত্রদল সভাপতির পর এবার যুবদল নেতাকে পিটিয়ে যখম!

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪৪ পাঠক
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এবার আশরাফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার কচুয়া বাজারে কঁচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দীন জোয়ারদার মামুনের লোকজন হামলা চালিয়ে আশরাফুলকে জখম করে বলে ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে। আশরাফুল কচুয়া গ্রামের মনিরুদ্দীন খন্দকারের ছেলে। এর আগে ইবি ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুককে পিটিয়ে জখম করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, হামলার ভয়ে যুবদল নেতা আশরাফুল দীর্ঘদিন ঢাকায় পালিয়ে থাকতেন। কচুয়া বাজারে তার একটি গার্মেন্টস ব্যবসা আছে। সেটি দেখার জন্য তিনি মঙ্গলবার বিকালে বাজারে যান। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন, বোয়ালিয়া গ্রামের পলাশ, কাচেরকোল গ্রামের ইয়াসিন কাজী, রতিডাঙ্গার মিলন, কাচেরকোল পশ্চিমপাড়ার এনামুলসহ অন্তত ১০/১২ জন যুবদল নেতা আশরাফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। যুবদল নেতা আশরাফুল অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন নিজেই এই হামলার নেতৃত্ব দেন।

এদিকে এক সপ্তাহ আগে শৈলকুপার জাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাইমারী স্কুল মাঠে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন ইবি ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক। করোনা আতংকের মধ্যে সেই রেশ কাটতে না কাটতে যুবদল নেতাকে রক্তাক্ত করা হলো। ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক অভিযোগ করেন ঘটনার দিন তিনি জাঙ্গালিয়া স্কুল মাঠে বসে ছিলেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন, জাঙ্গালিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী ছেলে সাইদুল, এনামুল ইয়াছিন কাজী, সোহেল, মোহাম্মদ আলী ও রাম প্রসাদ হামলা চালায়। তাদের ভাষ্য ইউনিয়নে কেউ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল করতে পারবে না।

বিষয়টি নিয়ে কাঁচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের সমালোচনা করার কারণেই মুলত তারা মার খেয়েছে। তাদের ঠেকাতে গিয়ে তিনিও কিল ঘুষি খেয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, দেশের এই সংটকময় মুহুর্তে ওমর ফারুক ও আশরাফুল সরকার বিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে এবং ফেসবুকে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। সেই জন্য দলীয় লোকজনের রোষানলে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, হামলার কথা শুনেছি। তবে থানায় কেও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে। অন্যদিকে হামলায় আহতদের দাবী থানায় মামলা করলে তারা গ্রামেই থাকতে পারবেন না ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *