শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

সামান্য বৃষ্টিতেই চাঁদপুর শহরে জলাবদ্ধতা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪৪ পাঠক
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুর,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮: চলতি বছর বৈশাখ মাসেই কম-বেশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জ্যৈষ্ঠতেও থেমে নেই বৃষ্টি। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই চাঁদপুর শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের ব্যস্ততম সড়ক, পাড়া ও মহল্লায় হাঁটুপানি জমে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক মহল্লার বাসিন্দা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

অপরিকল্পতিভাবে বাড়ি তৈরি, শহরের পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া ও পরিকল্পিত নর্দমা ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান পৌরবাসী।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকা, পালপাড়া, নাজিরপাড়া, কুমিল্লা সড়ক, হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও চাঁদপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কে কদিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
শহরের ট্রাকরোডের বাসিন্দা সুমন মোস্তান জানান, রহমতপুর আবাসিক এলাকাটি ডাকাতিয়া নদীর খুবই কাছে। কিন্তু ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সময় নোংড়া ও ময়লা পানি বৃষ্টির পানিতে মিশে গোটা এলাকা একাকার হয়ে যায়।
এর পাশর্^ প্রতিক্রিয়ায় শিশুসহ সব বয়সের মানুষের পায়ে এলার্জি জাতীয় রোগ দেখা দেয়। পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সঙ্গে কোনো ধরনের মতবিনিময় না করে সড়কগুলো পাকা করেছে। এখন বৃষ্টির পানির কারণে এসব সড়ক একমাসও টিকবে না।
পালপাড়ার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, পালপাড়া সড়ক দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচল করে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। তাছাড়া এখানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এ পাড়ায়ও পানি জমে যায়। দুদিনের বৃষ্টিতে মহল্লায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। যাদের বাসাবাড়ি নিচু তাদের অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারেননি। শ্রমজীবীদের হাঁটুপানির মধ্যেও বের হতে হয়েছে।
শহরের বাগাদী রোডের বাসিন্দা ও জেলা ক্যাবের সদস্য বিপ্লব সরকার জানান, শহরের মধ্যকার সব খালসহ রেললাইনের পাশের খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এখন শহরে পানি নিষ্কাশনের সব পথই বন্ধ। এসব খাল উদ্ধার ও সংস্কার করলে জলাবদ্ধতা কমে যাবে। তাছাড়া পরিকল্পিত নর্দমা ব্যবস্থাও করা দরকার।
শহরের ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা কয়েক মাস পর পরই পৌরসভার পক্ষ থেকে নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে রাখি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা নেই। তারা নর্দমার পাশে আবর্জনা স্তূপ করে রাখে। ওই সব আবর্জনা এক পর্যায়ে নর্দমার মধ্যে গিয়েই পড়ে। ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *