শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

অবশেষে ৪ বছর পর হরিনাকুন্ডুর আনু হত্যার রহস্য উদঘাটন সিআইডি’র অভিযানে গ্রেফতার কিলিং মিশনের ৩ সদস্য

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ২৮ পাঠক
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

জাহিদুর রহমান তারিক, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঝিনাইদহ : পুলিশ ও পিবিআই দুই দফা তদন্ত করে ব্যার্থ হওয়ার চার বছর পর ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের মাঠে আনোয়ার হোসেন আনু হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। সেই সাথে গ্রেফতার হয়েছে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ৩ হত্যাকারী। নিহত আনোয়ার হোসেন আনু হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকি গ্রামের মৃতঃ জবেদ আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃতদের একজন হচ্ছে কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃতঃ নফর আলী মন্ডলের ছেলে সাহেব আলী। তিনি এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানার অধীন উদয়পুর গ্রামে বসবাস করতেন। সাহেব আলীকে ঝাউদিয়া বাজার থেকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিআইডি পুলিশ গত বৃহস্পতিবার হরিনাকুন্ডু উপজেলার কিছমত ঘোড়াগাছা গ্রামে অভিযান চালিয়ে একই গ্রামে আবুল মিয়ার ছেলে শাহিন কবির ঝলক (৩৮) ও ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে রাশিদুল ইসলাম কুটি (৪৩) কে গ্রেফতার করে।

সিআইডি সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রয়ারি মধ্য রাতে আনোয়ার হোসেন আনুকে গলাকেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন তার স্ত্রী মোছা: বিউটি খাতুন বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত মামলা করেন।

মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ কোন আসামী বা মোটিভ ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে ২০১৭ সালের ৮ আগষ্ট হরিনাকুন্ডু থানার এসআই আসাদুজ্জামান আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। বাদী চুড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত ঝিনাইদহ পিবিআইকে মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। পিবিআই’র এসআই ইসমাইল হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল তিনিও হরিনাকুন্ডু থানার সম্পূরক চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।

বাদী পুরনায় নারাজির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টম্বর মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য আদালত ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। সিআইডি’র এসআই মাসুদ রানা একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করেন। তিনি গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলার রহস্য ও হত্যার সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে শনাক্ত করেন। গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের নিকট সোপর্দ করেছেন।

ক্লুলেস হত্যা মামলাটির তৃতীয় দফা দায়িত্বভার গ্রহনকারী তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ রানা জানান, মামলাটি তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। এরপর সন্দিগ্ধ আসামিদের ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করে সফলতা পায়। তিনি বলেন এই মামলায় আরো অনেকেই সম্পৃক্ত আছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *