শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

পুলিশের সাথে অপরাধীদের সখ্যতা! পরোয়ানা ভুক্ত প্রায় দেড় হাজার আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪২ পাঠক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

সিরাজুল ইসলাম রতন, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত আসামীসহ আদালত কর্তৃক গ্রেফতার পরোয়ানা ভুক্ত প্রায়দের হাজার আসামী বিভিন্ন ভাবে ঘোড়াফেরা করলে ও পুলিশ তাদের ধরছেনা।ফলে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় পলাশবাড়ী থানার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

গ্রেফতার পরোয়ানা ভুক্ত আসামির মধ্যে রয়েছে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, জমিজমা সংক্রান্ত মাদক, যৌতুক নারী শিশু নির্যাতন, সন্ত্রাস নাশকতা ও অঙ্গিসংযোগ সম্বলিত মামলা। এসব আসামীদের গ্রেফতার না করায় ফলে এরা প্রকাশ্য দিবালোকে চলাফেরা অব্যাহত রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে সচেতন মহল মনে করেন। অপরাধীরা কতিপয় পুলিশের অসাধু কর্মকর্তার সাথে আতাত করে এসব অপরাধ কর্মকান্ড দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। এড়া কখনো কখনো পুলিশকে ব্যাবহার করে সাধারণ মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য জানায় বিভিন্ন মামলায় প্রায় হাজার ১২ শ আসামী পলাতক রয়েছে।জীবিক নির্বাহের তাগিদে অনেকে আবার রাজধানী ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আছে।গত এক বছরে এই থানায় পারিবারিক কলহ ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে খুন হয়েছে প্রায় হাফ ডজনের ও বেশি মানুষ।এছাড়াও গত কয়েকদিনে পৌরশহরের আশপাশ এলাকায় ছিচকে চুরি, মাদক ব্যবসা ও অধিপত্য বিস্তারের ঘটনা নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে পলাশবাড়ী থানা এলাকায় প্রতিনিয়তই ঝরছে রক্তের লীলাখেলা ।কিশোরগাড়ী,বরিশাল, ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘটনা গোটা থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।অধিকাংশ ঘটনার মামলা দায়ের করতে এসে মানুষ বিভিন্ন ভাবে পুলিশী হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করে বলেন গরীবের বিচার আইন এই থানায় নেই।তবে দালালের মাধ্যমে আসলেই কেবল সব অসম্ভব সম্ভবে পরিনত হয়।

বিগত পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম এর সময় গোটা গাইবান্ধা জেলা জুয়া মুক্ত হয়।সময়ের সাথে সাথে আবারো পলাশবাড়ী থানার বিভিন্ন স্থানে চলছে জুয়া।পৌর শহরের প্রায় ১০ টি স্পটে এখন ও চলছে দিব্যি জুয়া।অভিযোগ রয়েছে কতিপয় পুলিশ সদস্য এই জুয়া থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করে।যদি ও গত ৭ এপ্রিল পুলিশ জুয়া খেলার অপরাধে ৮ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে।

তবে ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে রাগব বোয়ালরা।গত কয়েক দিন আগে টিসিবি ভোগ্যপন্য অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকরা ইউএনও, ওসিকে অবগত করলে ঘটনার দের ঘন্টা পর তারা ৫ জন এস আই ও ডিএসবির ও কয়েকজন কনেষ্টেবলকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য এসব কর্মকর্তার সামনে দুই সাংবাদিককে মারপিট করা হলে পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের উদ্ধার না করে নীবর ভুমিকা পালন করে।এ ঘটনায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দাখিল হলে ও পুলিশ মামলা গ্রহন না করে উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ গ্রহণ করেন।

সার্বিক বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান মাসুদ ব্যাস্ত আছে বলে ফোন কেটে দেন।

তবে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল আসাদুজ্জান আসাদ বলেন যে বিষয় গুলো ওঠে এসেছে তা ক্ষতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *