শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

বিএনপি ‘নাকে খত দিয়ে’ নির্বাচনে আসবে: প্রধানমন্ত্রী

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৮ পাঠক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর : আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনও ধরনের সংলাপের উদ্যোগ নেবেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না, তারা নির্বাচনে আসবে না। এক্ষেত্রে কিছু করার নেই। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। এত সাধাসাধির দরকার কি হলো; আমি বুঝতে পারলাম না। সাধাসাধির কিছু নেই। তবে আমার মনে হয়- এবার নাকে খত দিয়ে তারা ইলেকশনে আসবে।’

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে জানাতে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে আসা প্রত্যেক দলের কর্তব্য। সেক্ষেত্রে কোনও দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সাধাসাধির তো কিছু নেই।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘জনগণ যাতে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা হবে। যারা জনগণের কল্যাণ চায়, তারাই নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসুক।’

বিএনপি নেত্রীর ছোটলোকিপনার কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফার রহমান কোকো মারা গেলে আমি তার বাসভবনে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আমি সেদিন একজন সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দিতেই গিয়েছিলাম। সবকিছু পরে আমি তো প্রধানমন্ত্রী। অথচ সেদিন আমাকে খালেদার দরোজা থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল।’

আগামী নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এমন কোনও দৈন্যদশায় পড়েনি যে আগাম নির্বাচন দিতে হবে।’

এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়া নিষিদ্ধ জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল। অথচ এই জিয়াকে মেজর থেকে মেজর জেনারেল করেছিলেন আমার বাবা (জাতির পিতা)।’

সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি, বরং খালেদা জিয়ার সরকারই তাঁর বিরুদ্ধে এক ডজনের মতো মামলা দিয়েছিল উল্লেখ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদার বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েই হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারা। সবাই উনার লোক ছিল। ৯ জনকে টপকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল মঈন ইউ আহমেদকে, বিশ্ব ব্যাংক থেকে ফখরুদ্দীনকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হয়। আর ইয়াজউদ্দিনতো ওনার ইয়েস উদ্দিন। উনার বিরুদ্ধে সব মামলাই কিন্তু ওই আমলের।’

সরকার জিয়া পরিবারের সঙ্গে বৈরী আচরণ করলেও তিনি শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমা’ করে দিয়েছেন- সম্প্রতি খালেদা জিয়ার দেয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনও অপরাধ করেছি নাকি যে আমাকে ক্ষমা করতে হবে? বরং তার (খালেদা জিয়া) উচিৎ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘একসময় দেশের বাইরে গেলে অন্যান্য দেশের সরকার মনে করতো বাংলাদেশ ভিক্ষা নিতে এসেছে। কিন্তু এখন বহির্বিশ্বেও আমরা সমীহ আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশকে সমীহ করে।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা আশা করি, আলোচনার মধ্য দিয়েই এ সমস্যা হবে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেই তো এই শ্লোগান দিয়েছিলাম- আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। তাই আমি শুধু এটুকু বলতে পারি- উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের সরকারে থাকা দরকার। আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিলে আফসোস থাকবে না।’

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ঘোষণা ইসলামি বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হবে না। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের অধিকার আছে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ১৯৬৭ সালে যে সীমানা ছিল, সেটাই থাকা উচিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনির পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

সম্প্রতি কম্বোডিয়া সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং উভয়ই লাভবান হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *