1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৯:০২ অপরাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

বিএনপিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে বিএনপির মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। বিএনপির শীর্ষনেতা ও আইনজীবীরা আশা করেন এই মামলার রায়ে খালেদা জিয়া খালাস পাবেন। কিন্তু তারপরও এক ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে দলটির নীতিনির্ধারকেরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন রায় পরবর্তী দলের কর্মকৌশল নির্ধারণে।তবে রায় বিরুদ্ধে গেলেও আপাতত আন্দোলনে যাবে না বিএনপি। তারপরও সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, এবার আন্দোলনের কৌশল হবে ভিন্ন। জনসম্পৃক্ততা মূলক কর্মসূচি দেবে। সে জন্য যেসব জেলায় এখনো কমিটি হয়নি, সেসব জেলাসহ সকল জেলা মহানগরে দলীয় গ্রুপিং বাদ দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য বলেছেন বিএনপি মহাসচিব।

গুলশানে এক বৈঠক শেষে গত কয়েকদিন আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য সাজা দিতে পারে। সেই জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে যে কর্মসূচি দেয়া হবে তা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করতে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রস্তুত থাকার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

আগামীকাল দলীয় প্রধানের মামলার রায়ের বিষয় জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘রায় যাই হোক না কেন, আইনগতভাবেই আমরা মামলা মোকাবিলা করব। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের যে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, এটা এখন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের মানুষও বিশ্বাস করে।’

রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘স্বৈরাচার, সামরিক স্বৈরাচার এবং সকল বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী ১৯৮২ সালের পর থেকে বেগম জিয়াকে টার্গেট করে রেখেছে। সেই টার্গেট এখনও আছে, ২০০৬-এ দুই নেত্রীকে নির্বাসিত করার যে কথা বলা হয়, আসলে এক নেত্রীকে ধ্বংস করা এবং সরানোর লক্ষেই ১/১১ নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে তা বেড়িয়ে আসে। শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘১/১১ সরকার হচ্ছে তার আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। কারণ যে (শেখ হাসিনার) আন্দোলনের ফসল সে কেন সেই আন্দোলনের নেত্রীকে অপসারণ করতে চাইবে, নির্বাসিত করতে চাইবে। ছদ্মবেশী সামরিক শাসনের সমর্থনে শেখ হাসিনা সেদিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন এবং তারই পথ ধরে ২০০৮ এ তারা ক্ষমতায় আসে। সংবিধান অনুযায়ী মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের বিচারের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও শেখ হাসিনার সরকার বা আওয়ামী লীগের সরকার করে নাই। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির যে ভোটার বিহীন নির্বাচন হলো সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আজ পর্যন্ত তারা ক্ষমতা দখল করে আছে।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘১৯৭৫ সালের যে একদলীয় কনসেপ্ট সরকার প্রতিষ্ঠার তারই আরেকটি সংস্করণ হচ্ছে ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যর্থ এবং অসফল করার পরিকল্পনা যেমন আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগীরা করেছে ঠিক তেমনি আইনের নামে তথাকথিত দুর্নীতির বিচারের নামে তাকে ধ্বংস করার জন্য এই বিচারের বাহানা করা হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে আগামীকাল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ আজন্ম স্বৈরতন্ত্র বা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার যে স্বপ্ন দেখছে সেটি পূরণ হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সবসময় গণতন্ত্র প্রিয় তারা গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত দিতে জানে। ১৯৭১ সালসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তারা প্রমাণ দিয়েছে। গণতন্ত্রের স্বপক্ষে তারা জীবনকে বাজি ধরতেও কার্পণ্য করে না। তেমনি ভাবে আগামী দিনেও দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে নিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী তার দল, তার জোটকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিবেন। বিচারে কি হলো কি হলো না, এটা নিয়ে দেশবাসী খুব বেশি উদ্বিগ্ন না এটা আমার কাছে মনে হয়।’

দলের যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘রায় আর কী হবে? সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো বিএনপি নেত্রীকে সাজা দিয়েই দিয়েছেন। তার বিশেষ দূত এরশাদও সাজা ঘোষণা করে জেলে পাঠিয়েছেন। মসিউর রহমান রাঙ্গাও খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠান। হাসানুল হক ইনুও তাকে আগেই জেল খাটান। রায় যেহেতু মন্ত্রীদের হাতে, সেখানে আদালত কী করবে, তা ৮ ফেব্রুয়ারিই জাতি দেখতে পাবে।’

দেশের শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন, তাদের আচরণের অতীত অভিজ্ঞতাই বলে দেয় রায় কি হবে? এমনটাও উল্লেখ করেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব। আলাল বলেন, ‘এ রায়ের সঙ্গে নির্বাচনটা রিলেটেড। এই সময় রায়টা নিয়ে আসা হলো। তাকে এত হয়রানিতেই বোঝা যায়, রায়টি হতে পারে ফরমায়েশি।’




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD