বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা বকেয়ার ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ২০০ কোটি টাকা শর্তসাপেক্ষে পরিশোধে রাজি হয়েছে গ্রামীণফোন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চকে এ কথা জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এদিন তাপস আদালতকে বলেন, ‘গেল ৩ অক্টোবর দুই অপারেটরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সমঝোতা বৈঠকে বিটিআরসির আরোপিত প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে নেয়াসহ বিভিন্ন শর্তে ২০০ কোটি টাকা পরিশোধের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, গ্রামীণফোন সেভাবেই এগোতে চায়।’
এসময় বিটিআরসির আইনজীবী মাহবুবে আলম এর বিরোধিতা করে পাওনা আদায়ে বিটিআরসির নোটিশ স্থগিত করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদন জানান।
শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন।
এদিন গ্রামীণফোনের পক্ষে ফজলে নূর তাপস ছাড়াও ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন।
আর বিটিআরসির পক্ষে মাহবুবে আলমের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
গত ৩১ অক্টোবর বিটিআরসির পাওনা কত টাকা আপাতত পরিশোধ করতে পারবে তা জানাতে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবরও পাওনা বকেয়ার কত টাকা আপাতত পরিশোধ করতে পারবে গ্রামীণফোনের ইনস্ট্রাকশন নিয়ে তা জানাতে ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
গেল ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর ২ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।