বর্তমানকন্ঠ ডটকম : করোনায় বিশ্বের গতিপথ বদলে দিয়েছে ভিন্ন বাঁকে। থমকে যাওয়া এই পৃথিবীতে বাংলাদেশি প্রবাসী রেমিটেন্সযোদ্ধা যে সকল অভিভাবকের সন্তান এই বছর বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রিয়াদ, সৌদি আরব থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০১৮ সালে সৌদি সরকার যে প্রবাস নীতি ঘোষণা করে ডিপেন্ডেন্ট ফি বাড়িয়ে দিয়েছিল, তাতে অনেক অভিভাবক বেশ কিছু কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্বল্প সংখ্যক দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয় নিবিড় তত্ত্বাবধানে যে ফলাফল নিয়ে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
বিদ্যালয় থেকে ৬৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ০৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তাদের মধ্যে ৫৫ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৩ জন। তারা হচ্ছে: মায়মুনা সালেহ পিতা- আবুল ফারুক মুহাম্মদ সালেহ সিদ্দিকী, আমিনা পিতা- জামরুল ইসলাম, মীর হুমায়রা জামান পিতা- মীর নাজমুজ্জামান। এছাড়া জিপিএ ৪.০০ থেকে ৪.৯৯ পেয়েছে ১৭ জন, ৩.০০ থেকে ৩.৯৯ পেয়েছে ৩১ জন, ২.০০ থেকে ২.৯৯ পেয়েছে ০৪ জন শিক্ষার্থী। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কেউ ফেল করেনি।
ফলাফল সম্পর্কে অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বেশ কিছু ভালো শিক্ষার্থী পরিবর্তিত পরিস্থিতে দেশে চলে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠান বেশ বিপাকে পড়ে যায়। তারপরও আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলি তাদের নিবিড় তত্ত্ববধানের মাধ্যমে যে ফলাফল আনতে সক্ষম হয়েছেন, তাতে আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। আগামীতে আমরা আগের মতোই আরো ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হবো ইনশাহ আল্লাহ।
বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ বলেন, আমাদের বেশ কিছু ভালো ছাত্র মাঝপথে দেশে চলে যাওয়ায় আমরা কিছুটা বিপাকে পড়ে যাই। তারপরও অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের দক্ষ শিক্ষকমন্ডলি যে ফলাফল বের করে নিয়ে এসেছেন, তার জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল নিয়ে বিশ্বের অনেক নামীদামী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কীতিত্ব রয়েছে। আমি আশা করি আগামীর দিনগুলিতে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান আরো অনেক বেশি সন্তেষজনক ফলাফল অর্জনে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।