শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

ঢাবিতে জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩০ পাঠক
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বৃস্পতিবার,০৪ জানুয়ারী, ২০১৮ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত এবং জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়ায় ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার সকালে পরিষদের এক বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সভায় এই সুপারিশ কার্যকর করা হবে।

প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে ২০১৬-১৭ সেশন ও ২০১৭-১৮ সেশনে অন্তত অর্ধশতকের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে বলে বের হয়ে আসে। এই খবরে কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে ভর্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ ১৫জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করল।

বহিষ্কারের জন্য যাদের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাভিদ আনজুম তনয়, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দীন রানা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল মামুন। কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘এরা তিনজন জালিয়াত চক্রের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করত।’ রানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কারের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইফতেখার, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আজিজুল হাকিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. বায়েজীদ, সংস্কৃত বিভাগের প্রসেনজিৎ দাস, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ফারদিন আহমেদ সাব্বির, অর্থনীতি বিভাগের মো, রিফাত হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফসান করিম, বাংলা বিভাগের আখিনুর রহমান অনিক, ইতিহাস বিভাগের টিএম তানভীর হাসনাইন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মুন্সী মো. সুজাউর রহমান ও পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের নাজমুল হাসান নাঈম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী জানান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গণমাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানের এই ১৫ জনের জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশই চূড়ান্ত। এটা আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *